১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
নির্বাচন অফিসার লাঞ্ছিত

শরীয়তপুরে সরকারি আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা

-

শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসারকে লাঞ্ছিত ও সরকারি কাজে বাধা দানের অভিযোগে জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌসুলি (জিপি) আলমগীর মুন্সীর নামে পালং মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত বুধবার রাতে সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার বিকাশ চন্দ্র দে বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
নির্বাচন অফিস ও পালং মডেল থানা সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২১ মে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে শরীয়তপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই নির্বাচনের একটি গোপন নথি নিয়ে গত মঙ্গলবার বিকেলে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকতা ও অতিরিক্ত জেলা প্রসাশক (রাজস্ব) সাইফুদ্দিন গিয়াসের রুমে বসে আলোচনা করছিলেন বিকাশ চন্দ্র দে। এ সময় ওই রুমে জিপি আলমগীর মুন্সী প্রবেশ করলে নথিটি উল্টিয়ে রাখেন নির্বাচন অফিসার বিকাশ চন্দ্র দে। এ ঘটনার একদিন পর বুধবার বিকেলে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে যাওয়ার সময় জিপি আলমগীর মুন্সী নির্বাচন অফিসার বিকাশ চন্দ্রকে ডেকে থামিয়ে নথিটি উল্টো রাখার প্রশ্ন তুলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে মারধর করতে উদ্যত হোন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনার বিচার দাবি ও নিরাপত্তা চেয়ে পালং মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন উপজেলা নির্বাচন অফিসার বিকাশ চন্দ্র দে।
নির্বাচন অফিসারকে গালাগালি করে মারধর করতে উদ্যত হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে শরীয়তপুর জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌসুলী (জিপি) আলমগীর মুন্সী বলেন, আমার বিরুদ্ধে নির্বাচন অফিসারের আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। ওনার সাথে আমার এমনিতেই কথা হয়েছে। আমি তার সাথে ভালোভাবে কথা বলেছি, কোনো অপ্রীতিকর কথা বলিনি এবং মারধর করতে উদ্যত হইনি।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও রির্টানিং কর্মকর্তা সাইফুদ্দিন গিয়াস বিষয়টি নিয়ে বলেন, বিষয়টি আমি সম্পূর্ণ অবগত। যা ঘটেছে, তা দুঃখজনক। এ বিষয়ে আইনগতভাবে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
পালং মডেল থানার ওসি মেজবাহ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে জিপি আলমগীর মুন্সীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্তসাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement