দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে রেললাইনে ট্রেন চলবে যেকোনো সময়ে
পাল্টে যাবে গোপালগঞ্জ নড়াইল খুলনা জেলার জীবন-মান- চৌধুরী আবু তালেব কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ)
- ১৭ মে ২০২৪, ০০:০৫
ঢাকা-পদ্মা সেতু-কাশিয়ানী-যশোর (রুপদিয়া) পর্যন্ত রেললাইনের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। রেললাইনে পরীক্ষামূলক চলাচলও শেষ করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের প্রাণের এ রেললাইনে যে কোনো সময়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু শুরু হবে রেলগাড়ি।
গোপালগঞ্জ, নড়াইল, খুলনা ও যশোর, বেনাপোলসহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের প্রাণের স্পন্দন এই রেললাইন। আর সেই রেললাইনে যেকোনো সময়ে আনুষ্ঠানিকভাবে চলাচল শুরু করবে রেলগাড়ি। ইতোমধ্যে ৩০ ও ৩১ মার্চ নবনির্মিত ৮৪ কিলোমিটার রেললাইনে পরীক্ষামূলকভাবে রেলগাড়ি চলাচল করেছে।
রেল চালু হলে বদলে যাবে এই অঞ্চলের মানুষের জীবন মান। কৃষকের উৎপাদিত পণ্য রেলযোগে দ্রুত ও কম খরচে পৌঁছে যাবে রাজধানী ঢাকায়। এ অঞ্চলের মানুষ খুলনা থেকে মাত্র তিন ঘণ্টা এবং যশোর থেকে মাত্র আড়াই ঘণ্টায় পৌঁছে যাবে রাজধানীতে। প্রায় ২৩০ কিলোমিটার কমে যাবে ঢাকা-খুলনা-যশোহরের দূরত্ব। মাত্র কয়েক দিন আগেও পশ্চিম-দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য এটি একটি স্বাপ্ন ছিল।
পদ্মা সেতু সংযোগ প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে কাশিয়ানী-নড়াইল হয়ে যশোরের সিঙ্গিয়া জংশন পর্যন্ত ১৬২.৫ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপনে ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে যশোরের রুপদিয়া পর্যন্ত ৮৪ কিলোমিটার রেল স্থাপনে ব্যয় ধরা হয় সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ অর্থায়নে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে গ্রুপ (সিআরসি) এই রেল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে। সেই সাথে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রকল্পের পরামর্শক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে।
প্রকৌশলী আবু ইউসুপ মো: শামীম বলেন, প্রকল্পের সামগ্রিক কাজ শেষপর্যায়ে আগামী জুন মাসের যেকোনো সময়ে রেললাইনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সাথে গোপালগঞ্জ, নড়াইল, খুলনা, যশোর ও বেনাপোলসহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হবে।
অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক প্রবীর কুমার চক্রবর্তী বলেন, রেল চালু হলে আমাদের সময় ও অর্থ দুটোই বাঁচবে যাবে। শুধু তাই নয়, এই রেল লাইন উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে রেলযোগে ঢাকা থেকে বেনাপোল স্থলবন্দরের দূরত্ব অনেক কমে যাবে। বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে আমদানি-রফতানি পণ্য সরাসরি পদ্মা সেতু হয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পরিবহনে সুবিধা পাবেন ব্যবসায়ীরা। কোনো ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই সাধারণ মানুষ যাতায়াত করতে পারবেন। পদ্মা সেতু দিয়ে রাজধানীতে স্বল্প সময়ে যাতায়াত করতে পারবে পশ্চিম-দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ।
এই রেললাইন উদ্বোধনের পর থেকে ধীরে ধীরে পাল্টে যাবে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনমান, আর সেই সাথে বেনাপোল-ঢাকা মহাসড়ক পথে অল্প খরচে পণ্য পরিবহনে সুযোগ পাবে আমদানি-রফতানিকারকরা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা