জিপিএ ৫ পেয়েও বিষাদে ভুগছে শারমিন
- রেজোয়ান ইসলাম ডিমলা (নীলফামারী)
- ১৭ মে ২০২৪, ০০:০৫
বাবা মানসিক প্রতিবন্ধী আর মা থেকেও নেই। বয়োবৃদ্ধ দাদী আর অভাবী চাচার সংসারে বেড়ে ওঠা, অন্য দিকে নিজের টিউশনির টাকা পড়াশোনায় জোগান দিয়ে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবার এসএসসি-২০২৪ পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়ায় খুশি হয়েছেন শারমিন আক্তার মনির পরিবারসহ স্কুলের শিক্ষক ও প্রতিবেশীরা। কিন্তু আগামী দিনের উচ্চ শিক্ষার খরচের চিন্তায় আনন্দ বিষাদে পরিণত হচ্ছে মনির।
শারমিন ডিমলা উপজেলার শঠিবাড়ী বাজারের বাসিন্দা বদরুল ইসলামের মেয়ে। সে স্থানীয় গয়াবাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে বিজ্ঞান শাখায় এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে।
শারমিনের বাবা মানসিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় পাঁচ বছর আগে মা ময়না বেগম অন্যত্র চলে গেছেন। বদরুলের নিজের বসতবাড়ি না থাকায় চাচার বাড়িতে দারিদ্র্যের কষাঘাতে বেড়ে ওঠে শারমিন।
শারমিন নয়া দিগন্তকে বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি প্রাইভেট পড়িয়ে সেই টাকা স্কুলের খরচ ও যৎসামান্য দাদীর খরচে জোগান দেয়ার চেষ্টা করতাম। টাকার অভাবে কি কলেজে ভর্তি হতে পারব না? আমার স্বপ্ন কি ‘স্বপ্নই’ থেকে যাবে? গরিব হয়ে জন্মেছি বলেই হয়তো টাকার অভাবে লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাবে! আজ পর্যন্ত প্রাইভেট বা কোচিং কাকে বলে আমি জানি না। বাবা মানসিক প্রতিবন্ধী। মা থেকেও নেই। ছোট চাচা আর দাদী লেখাপড়ার খরচ চালিয়েছে। অনেকটাই আবেগপ্রবণ হয়ে শারমিন বলে তাহলে আমি কি ডাক্তার হতে পারব না?
শারমিনের চাচা নাজমুল জানান, সাতজনের সংসারে ছোট পানের দোকানের আয় দিয়ে সংসার চালানো দায় হয়ে পড়েছে। কিন্তু ভাতিজির কলেজে পড়ালেখার খরচ কোথায় পাব? আমারও ছেলে-সন্তান আছে তারাও লেখাপড়া করে।
গয়াবাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) ফরহাদ হোসেন জানান, দরিদ্রতা কখনো মেধাকে দমিয়ে রাখতে পারে না। যার উদাহরণ আমাদের মেধাবী ছাত্রী শারমিন আক্তার মনি। সে আমাদের কলেজে ভর্তি হলে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।
এলাকাবাসী জানান, শারমিন জিপিএ-৫ পাওয়ায় আমরা গর্বিত। প্রশাসনসহ সমাজের বিত্তবানরা নজর দিলে ভালো কলেজে পড়াশোনা আটকাবে না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা