১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

গাছের শিকড়ের ফার্নিচারে ব্যতিক্রমধর্মী টঙঘর

গাছের শিকড়ের টঙঘরে বসার জায়গা। ইনসেটে রহমান রানা : নয়া দিগন্ত -

ভোলার বোরহানউদ্দীন উপজেলায় গাছের শিকড়ের ফার্নিচার দিয়ে গ্রামীণ পরিবেশে ব্যতিক্রমধর্মী টঙঘর তৈরি করে এলাকাবাসীর নজর কেড়েছেন রহমান রানা। তিনি প্রকৃতিপ্রেমী মানুষদের গাছের শিকড়ের তৈরি চেয়ার টেবিলে বসে হালিম, ফুচকা, চা ও কফিসহ নানারকম খাবার খাওয়ান।
সরেজমিনে দেখা যায়, টঙঘরটি বোরহানউদ্দীন উপজেলার সাচরা ইউনিয়নে অবস্থিত। স্থানীয়ভাবে এটা টং ঘর নামেই পরিচিত। টঙঘরটির সামনের গেট বাসের তৈরি। বিভিন্ন গাছের শিকড় দিয়ে নিপুণভাবে তৈরি করেছেন ডাইনিং টেবিল, চেয়ার, বেসিন, টুলসহ নানা রকম আসবাবপত্র। বিভিন্ন শিকড়-বাকড়, খড়, বাবুই পাখির বাসা, সুপারি গাছের চেড়ি ও বাঁশ দিয়ে ডিজাইন করে সাজানো হয়েছে চারপাশের দেয়াল।
এ বিষয়ে রহমান রানা বলেন, ঢাকায় মানুষের বাসায় ফার্নিচারের কাজ করছি ২০ বছর। সেনাবাহিনীর বড় অফিসাররা পাহাড়ি গাছের শিকড় নিয়ে আসতেন এবং তাদের পরামর্শে বিভিন্ন ডিজাইনের ফার্নিচার করতাম। তখন থেকেই পরিকল্পনা করি গ্রামে নিজের জায়গায় শিকড়-বাকড়ে ঘেরা একটি টং ঘর করব। গত দুই বছর ধরে পর্যায়ক্রমে টঙঘরটি তৈরি করি। এতে আমার দুই লাখ টাকা খরচ হয়। আরো অনেক কাজ বাকি। পর্যায়ক্রমে ফাস্ট ফুডের সব আইটেমসহ চা, কফি পাওয়া যাবে। ঈদ, পূজাসহ বিভিন্ন উপলক্ষে পরিবারসহ মানুষ আসে।
ফরিদপুর থেকে ঘুরতে আসা নয়ন, রাহাত বিশ্বাস জানান, আমরা ফেইসবুক, ইউটিউবের মাধ্যমে জেনে এসেছি। আমরা ফুচকা, চটফটি খেয়েছি কিন্তু গাছের শিকড়-বাকড়ের ডিজাইনে আমাদের বেশি আকৃষ্ট করেছে।
স্থানীয় রুহুল আমিন, খোকনসহ এলাকার মানুষ তার ব্যতিক্রমধর্মী সৃজনশীল কাজের প্রশংসা করেন। ব্যক্তিগতভাবে রহমান রানা দুই সন্তানের জনক। তার স্ত্রী সেলিনা তাকে উৎসাহ দেন।
সাচড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহ মৃধা বলেন, রহমান রানাকে আমি চিনি। সে একজন সৃজনশীল কর্মের মানুষ। তার ব্যতিক্রমধর্মী কাজের প্রশংসা ও ব্যবসার উন্নতি কামনা করেন তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement