চা বিক্রি করে ২২ বছর মা-ছেলের পথচলা
- জালাল উদ্দিন হাককানী মহম্মদপুর (মাগুরা)
- ১৫ মে ২০২৪, ০১:৪২
পলাশি সরকার। বাবা তাকে বিয়ে দিয়েছিলেন এক ট্রাক শ্রমিকের সাথে। নগণ্য পারিশ্রমিকে কাজ করার কারণে পলাশির স্বামী সংসারে কোনো টাকা পয়সা দিতে পারতেন না। তাই, বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাজ করতেন পলাশি। এর মধ্যে তাদের কোলজুড়ে আসে দুটি ছেলে সন্তান। অভাবের সংসারে পলাশির মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে। তবুও তিনি হাল ছাড়েননি। নিজের ঠিকে ঝি’র কাজ করে যে অর্থকড়ি পাইতেন তা-ই দিয়েই তিনি ছেলেদের পড়াশোনা করাতে লাগলেন।
২০০২ সালে যখন পলাশির বড় ছেলে তাপসের বয়স ১৩ বছর, তখন পলাশি মাগুরার মহম্মদপুর বাজারে একটি চায়ের দোকান দিলেন। এই উদ্যোগ তাদের পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হতে শুরু করে।
এ কাহিনী মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা সদরের কার্তিক সরকারের স্ত্রী পলাশি সরকারের। পলাশি জানান, ২২ বছর ধরে চায়ের দোকান চালাচ্ছেন তিনি। দোকানের আয় প্রতিদিন ৭০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা। বড় ছেলে তাপস সরকার বর্তমানে বিবাহিত এবং তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ছোট ছেলে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করার পর এখন একটি সেলুনে নরসুন্দরের কাজ করছেন।
পলাশি সরকার বলেন, আমার স্বামী কার্তিক সরকার এখনো ট্রাক শ্রমিকের কাজ করেন। কিন্তু তার আয় খুবই সীমিত। তা দিয়ে তার নিজের খরচই ভালোভাবে চলে না। তবে, আমাদের চায়ের দোকানের আয়ে আমাদের সংসার ভালোই চলছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা