১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ফরিদপুরে জাহিদ ইন্ডাস্ট্রিতে ৩ দফায় চুরি

-

ফরিদপুরের ধুলদীতে জাহিদ ইন্ডাস্ট্রিজ নামে একটি খাদ্য পণ্য তৈরির কারখানায় একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটলেও চুরির সাথে জড়িতদের শনাক্ত করতে পারছে না পুলিশ। এ ঘটনায় চরম হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওই ইন্ডাস্ট্রির মালিক সাংবাদিক এস এম জাহিদ হোসেন।
এস এম জাহিদ ফরিদপুর থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক বুদ্ধিযুদ্ধ পত্রিকার সম্পাদক এবং ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সদস্য। প্রতিষ্ঠানে প্রথম দফা চুরির পর তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু এ বিষয়ে পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় চুরির ঘটনায় তিনি থানায় শুধু মৌখিকভাবে অভিযোগ দেন।
জানা গেছে, গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর প্রথম দফায় জাহিদ ইন্ডাস্ট্রিজের দেয়াল টপকে চুরির ঘটনা ঘটে। ওই দিন তার প্রতিষ্ঠানের পাঁচ হর্স পাওয়ারের চারটি মোটর, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংরক্ষণের একটি ডিভিআর ও একটি সাবমার্সেবল পাম্পসহ প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ টাকার মালামাল চুরি হয়। এ ঘটনায় তিনি কোতোয়ালি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এরপর কোতোয়ালি থানার এসআই অরূপ মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পান। তবে, তদন্ত আর এগোয়নি।
ঘটনার তদন্ত চলাকালেই গত ১১ জানুয়ারি আবারো চুরি হয় প্রতিষ্ঠানটিতে। এবার বাইরের সাবমার্সেবল পাম্প, মুড়ির মেশিনের মোটর ও টিউবওয়েলসহ প্রায় ৯০ হাজার টাকার মালামাল চুরি হয়। সর্বশেষ গত ৭ মে দিবাগত রাতে আবারো চুরি হয় সেখানে। এবার শার্টারের তালা ভেঙে ১২টি ফ্যান, ভিতরের পানির মোটর, মেশিনের মোটর, চারটি স্ট্যাবিলাইজার, ফ্রাই বার্নার ও অন্যান্য মালামালসহ প্রায় দেড় লাখ টাকার মালামাল চুরি হয়।
এস এম জাহিদ হোসেন বলেন, একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটলেও পুলিশ চোরদের শনাক্ত করতে পারেনি। তিনবারের চুরির ঘটনা ঘটায় প্রতিষ্ঠানটিই আমার বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই অরূপ বিশ্বাস বলেন, ঘটনার কিছু ক্লু পাওয়া গেছে। সেগুলো ধরে তদন্ত সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে এখনো কেউ গ্রেফতার হয়নি। আশা করি শিগগিরই চোরদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।

 

 

 


আরো সংবাদ



premium cement