হাওরাঞ্চলে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন
- ফখর উদ্দিন ইমরান কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ)
- ১৪ মে ২০২৪, ০০:০৫
সব দুশ্চিন্তার অবসান ঘটিয়ে এবার কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী, নিকলী ও বাজিতপুরসহ সব হাওরাঞ্চলে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকদের মুখে ফুটেছে প্রশান্তির হাসি। একদিকে ফলন ভালো হয়েছে, অপর দিকে আবহাওয়া ভালো থাকায় ফসল কাটতেও কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি তাদের।
এখন চলছে ধান মাড়াইয়ের কাজ। কিছু ধান কাটারও বাকি রয়েছে, তবে সেগুলোও খুব শিগগিরই শেষ হয়ে যাবে। অবশ্য, এই শেষ সময়ে আবহাওয়া কিছুটা বিরূপ থাকলেও তা বড় ধরনের কোনো সমস্যার সৃষ্টি করেনি। ফলে কৃষকরা ফসল ঘরে তুলতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন।
কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলসহ সবখানেই এখন ধান শুকানোর ধুম পড়েছে। নাওয়া খাওয়া ভুলে সবাই কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আবহাওয়া ভালো থাকায় এ বছর ফলনও হয়েছে ভালো। উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, ইতোমধ্যে ৯৬ ভাগ ধান কাটা শেষ হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে বাকি ফসলও কাটা হয়ে যাবে। রোদ পাওয়ার জন্য খোলা রাস্তায় চলছে ধান মাড়াইয়ের কাজ।
সরেজমিন দেখা গেছে, হাওর এলাকার রাস্তা, স্কুল মাঠ, বাড়ির উঠানে, বারান্দায় এবং মাঠে ধান শুকানোর কাজ চলছে। বাতাসে ধানের মিষ্টি ঘ্রাণ এসে নাকে লাগছে। পরিবারের প্রতিটি সদস্যই যেন এখন শ্রমিক হয়ে গেছে।
কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি বছর কিশোরগঞ্জ জেলায় এক লাখ ৬৭ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। যার মধ্যে এক লাখ ৪ হাজার হেক্টর আবাদ হয়েছে শুধু হাওরেই। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১২ লাখ ৫৩ হাজার ৬২৫ টন ধান, যা বিক্রি হবে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকায়।
জলার ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম ও নিকলী হাওরের কৃষাণ কৃষাণীরা বিভিন্ন সড়ক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠ দখল করে ধান শুকানোর কাজ করছে। প্রচণ্ড রোদেও তাদের কোনো ক্লান্তি নেই। দ্রুত ধান শুকাতে মাঠের ঘাসের ওপর বিছানো হয়েছে ছোট-বড় পলিথিন। আর সেই পলিথিনে শুকানো হচ্ছে ধান। ভরা দুপুরে অস্বস্তির রোদই যেন তাদের স্বস্তি এনে দিচ্ছে।
এ বছর কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী, বাজিতপুর, ইটনা, অষ্টগ্রাম, মিঠামইন হাওরসহ নিকলী, তাড়াইল এবং উজান এলাকার উপজেলাগুলোতে বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। ধানের দামও এবার ভালো। মাড়াইস্থলে প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৮০০ থেকে সাড়ে ৯০০ টাকায়।
কিশোরগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আব্দুস সাত্তার বলেন, ধান কাটা প্রায় শেষ। এ বছর আবহাওয়া ভালো থাকায় ভালো ফলন হয়েছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই কৃষকরা এখন মনে প্রশান্তি নিয়ে বোরো ধান ঘরে তুলছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা