সাটুরিয়ায় সেতু নির্মাণের স্থান পরিবর্তন, সংঘর্ষের শঙ্কা
- এ এস সফিক সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ)
- ০৭ মে ২০২৪, ০০:০৫
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার গোপালপুর বাজার বরাবর রাজৈর মাইনকার ঘাটের সেতু বুয়েটের প্রস্তাবিত স্থান থেকে এক হাজার মিটার উত্তরে নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে বরাইদ ইউপি চেয়ারম্যান গাজী আব্দুল হাইয়ের বিরুদ্ধে। গোপালপুরসহ ২০টি গ্রামের প্রায় দুই হাজার মানুষ এর বিপক্ষে স্বাক্ষর দিয়ে লিখিত অভিযোগ বিভিন্ন দফতরে জমা দিয়েছেন। বুয়েটের নকশা অনুযায়ী নির্ধারিত স্থানে সেতুটি নির্মাণ না হলে সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিন দেখা যায়, সাটুরিয়া উপজেলার বরাইদ ইউনিয়নটি ধলেশ্বরী নদী দ্বারা বিভক্ত। গোপালপুর বাজার সংলগ্ন মাইনকার খেয়াঘাট দিয়ে সাটুরিয়া, দৌলতপুর উপজেলাসহ টাঙ্গাইল জেলার ৫০টি গ্রামের মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করে।
বরাইদ ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ধলেশ্বরী নদীর ওপর বুয়েটের একটি টিম গোপালপুর বাজার সংলগ্ন মাইনকার খেয়াঘাটে ৩৩৬ মিটার দৈর্ঘ্য, ৯.৮ মিটার প্রস্থ ৫১ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু বরাইদ ইউপি চেয়ারম্যান গাজী আবদুল হাই, উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে আনুমানিক ১০০০ মিটার দূরে তার নিজ বাড়ি সংলগ্ন স্থানে সেতু নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু করেন। এতে দৌলতপুর ও ঘিওর উপজেলার দূরবর্তী জনগণসহ দড়গ্রাম ও সাটুরিয়া ইউনিয়ন এবং রাজৈর, ধুলট, কাকরাইদ, গালা, ঘরিয়ালা গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার লোকের যাতায়াত বিঘিœত হবে।
এ ব্যাপারে বরাইদ ইউপি চেয়ারম্যান গাজী আব্দুল হাই সাংবাদিকদের বলেন, বরাইদ ইউনিয়নের বৃহৎ স্বার্থেই সেতুটি যথাস্থানে নির্মিত হচ্ছে।
উপজেলা প্রকৌশলী নাজমুল করিম বলেন, প্রথমে বুয়েট কর্তৃক গোপালপুর মাইনকার খেয়াঘাটে সেতুটি নির্মাণের জন্য নকশা করা হয়। পরে গোপালপুর মজিদের বাড়ি কাছ থেকে ডিজাইন করা হয়। পরে আবারো তৃতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান গাজী আবদুল হাই এর বাড়ির কাছ থেকে ডিজাইন করা হয়। কিন্তু চেয়ারম্যানের বাড়ির কাছে সেতুটি নির্মাণ হলে জনস্বার্থ বিঘিœত হবে দাবি করে প্রকল্প পরিচালক ও জেলা প্রশাসক বরারব চিঠি দেয়া হয়েছে। চিঠির অনুলিপি আমাকেও দেয়া হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা