১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১ পৌষ ১৪৩০, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

নাঙ্গলকোটে হীরা-১৯ ধানে মাজরা পোকার আক্রমণ

-

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ইরি-বোরো মৌসুমে বেসরকারি বীজ উৎপাদনকারী সুপ্রিম সিড কোম্পানির হীরা-১৯ ধান চাষ করে কৃষকদের মাথায় হাত পড়েছে। হীরা-১৯ ধানের থোড় বের হওয়ার পর মাজরা পোকার আক্রমণে ধানের থোড় শুকিয়ে গিয়ে ধান চিটা হওয়ায় কৃষকদের ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। হীরা-১৯ ধান লাগানো কৃষকরা ফসল হারিয়ে চোখে-মুখে অন্ধকার দেখছেন।
সরেজমিনে মাঠ ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার পেড়িয়া ইউনিয়নের দৌলতপুর, রামেরবাগ এবং শ্রীফলিয়া মাঠে হীরা-১৯ ধান উৎপাদানকারী কৃষকরা সবচে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। কৃষকরা মাজরা পোকা দমনে বাজার থেকে বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক ওষুধ বারবার ব্যবহার করেও কোনো উপকার পান নাই। প্রতি ছয় শতাংশ জমিতে তাদের প্রায় আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে বলে কৃষকরা জানান।
দৌলতপুর গ্রামের কৃষক হায়াতুন নবী জানান, স্থানীয় বাঙ্গড্ডা বাজার থেকে হীরা-১৯ ধানের বীজ সংগ্রহ করি। মাজরা পোকার আক্রমণে ধানের থোড় বের হওয়ার পর ধানের গোড়ায় পচন ধরে থোড় শুকিয়ে যায়। ধানের বীজতলা তৈরি থেকে শুরু করে ধান লাগানো, পানি দেয়া, আগাছা দমন, সার, কীটনাশক প্রয়োগে আমাকে বিপুল পরিমাণ টাকা ব্যয় করতে হয়েছে। উপজেলা কৃষি বিভাগের কোনো সহযোগিতা পাইনি। এতে আমার ১১৪ শতাংশ জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রামেরবাগ গ্রামের হতদরিদ্র ও অসুস্থ কৃষক হাসান বলেন, আমি জমি বর্গা নিয়ে ৪২ শতাংশ জমিতে হীরা-১৯ ধান লাগিয়েছে। ইতোমধ্যে ধান কর্তন করলেও আমাকে খড় নিয়ে ঘরে ফিরতে হয়েছে। কৃষি বিভাগের কোনো কর্মকর্তা আমাদের কোনো সহযোগিতা করেনি।
দৌলতপুর গ্রামের কৃষক মাসুদ বলেন, আমি নাঙ্গলকোট বাজার থেকে হীরা-১৯ ধানের বীজ সংগ্রহ করেছি। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, মাজরা পোকার আক্রমণে আমার ৭৮ শতাংশ জমির সম্পূর্ণ ধান নষ্ট হয়ে গেছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার নজরুল ইসলাম বলেন, দায়িত্বরত উপসহকারী কৃষি কমকর্তার মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে সরেজমিনে কৃষকদের সাথে কথা বলে বিষয়টি আমি দেখব।


আরো সংবাদ



premium cement