১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
হত্যার জেরে পুরুষশূন্য গ্রাম, মাঠে যেতে বাধা

মাদারীপুরে কয়েকশ’ বিঘা জমির পাকা ধান নষ্ট হচ্ছে মাঠে

-


মাদারীপুরে একটি হত্যা মামলাকে কেন্দ্র করে জমির পাকা বেরো ধান কাটতে না দেয়ার অভিযোগ উঠেছে বাদিপক্ষের বিরুদ্ধে। পুরুষশূন্য এলাকায় নারীরাও জমিতে ধান কাটতে গেলে তারাও নানা হুমকি ধামকি ও বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন।
জানা গেছে, রাধিকা হালদার হত্যাকাণ্ডের জেরে বাড়িছাড়া আসামিপক্ষ। কয়েকশ’ বিঘা জমিতে চলতি মৌসুমে বেরো ধান পেকে নষ্ট হচ্ছে। প্রচণ্ড রোদে পুড়ে ঝরে পড়ছে ধানের দানা। নারীরা ধান কাটতে গেলে লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠছে মামলার বাদিপক্ষের লোকজনদের বিরুদ্ধে। এমন কি, শ্রমিক দিয়েও ধান কাটতে গেলেও বাধা দেয়া হচ্ছে। আসামিপক্ষকে শিক্ষা দিতেই জমিতে ধান কাটতে দেয়া হচ্ছে না বলে জানা গেছে।

কৃষক সুকুমার ঘরামীর স্ত্রী শেফালী ঘরামী বলেন, ওই হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে আমার পরিবারের সবাইকে এবং আমার ভাইদেরকে আসামি করা হয়েছে। সবাই এখন পলাতক। চাষ করা জমিতে ধান পেকে নষ্ট হচ্ছে, আমরা নারীরা ধান কাটতে গেলে লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায় তারা। এই ধান ঘরে তুলতে না পারলে সারা বছর না খেয়ে থাকতে হবে। প্রহ্লাদ মণ্ডলের স্ত্রী বিনা রানী মণ্ডল বলেন, আমার স্বামী, দেবর-ভাসুর সবাই বাড়িছাড়া। আমাদের পরিবারের লোকজন জমিতে ধান চাষ করে গেছে। সেই জমির ধান এখন পেকে নষ্ট হচ্ছে। ধান কাটতে গেলে বাদিপক্ষরা এসে আমাদেরকে তাড়িয়ে দেয়। দিলীপ বৈরাগীর স্ত্রী চম্পা বৈরাগী বলেন, বছরে একবার জমিতে ধান হয়। এই ফসল ঘরে তুলতে না পারলে ছেলে-মেয়ে নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে। ধান কাটতে গেলে তারা লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদেরকে আক্রমণ করতে আসে।

এদিকে বাদিপক্ষ রাধিকা হালদারের ভাইয়ের ছেলে বিপ্লব হালদার বলেন, আসামিদের পরিবারের কটূক্তিমূলক কথার কারণেই ধান কাটতে বাধার সৃষ্টি হয়েছে। জমির ধান জমিতেই থাকবে। অন্য কেউ ধান কাটতে পারবে না। নিহত রাধিকা হালদারের পুত্রবধূ লক্ষ্মী রানী হালদার বলেন, আসামিদের পরিবারের নারী সদস্যরা অনেক গালিগালাজ করে। তাই ধান কাটতে দেয়া হচ্ছে না। মামলার আসামি যারা, তারা সরাসরি ধান কেটে নিয়ে যাক, অন্য কেউ ধান কাটতে আসলে এমনই হবে।

মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, জমিতে পাকা ধান ঘরে তুলতে বাধা দেয়া হলে সেটিও একটি অপরাধ। ধান কেটে নেয়ার জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান বলেন, এ জন্য প্রয়োজন হলে কৃষকদের পরিবারের চাহিদা অনুযায়ী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৪ মার্চ এক পিকনিকের গাড়িতে সামনে বসা নিয়ে মিল্টন হালদার ও প্রকাশ বৈরাগীর ঝগড়া হয়। পরদিন সকালে হালদার ও বৈরাগী বংশের লোকজন সংঘর্ষে লিপ্ত হলে বেশ কয়েকজন আহত হন। তাদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাধিকা হালদারকে ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানো হলে সেখানে চারদিন পর তিনি মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মিতালী হালদার বাদি হয়ে মাদারীপুর সদর মডেল থানায় ৪০ জনের নামে একটি মামলা করেন। বর্তমানে পুলিশ মামলাটি তদন্ত করছে।


আরো সংবাদ



premium cement
শিবচরে ভারতীয় আগ্রাসন ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বাশার আল-আসাদের পতনে সিরিয়ানদের ভাগ্যে যা ঘটতে পারে গাজায় একদিনে আরো ৫০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরাইল ৬ বছর পর রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন খালেদা জিয়া রৌমারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় বৃদ্ধ নিহত কিশোরগঞ্জ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাবের সভাপতি আশরাফ, সম্পাদক আল আমিন ইসরাইলি পাইলটদের যুদ্ধবিমান না চালানোর আহ্বান সাবেক আইন কর্মকর্তার আমতলীতে সড়ক দুর্ঘটনায় মা নিহত, ছেলে-মেয়েসহ আহত ৬ এবার ব্রিটিশ ব্যাংকে ‘ফ্রিজ’ করা হলো বাশারের ৫৫ মিলিয়ন পাউন্ড নোয়াখালীতে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত বিজয় দিবস উদযাপনে প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ

সকল