রমজানকাঠী প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থানান্তরে লেখাপড়ার বেহালদশা
- বাবুগঞ্জ (বরিশাল) সংবাদদাতা
- ০৪ মে ২০২৪, ০০:০০
বরিশালের বাবুগঞ্জের রমজানকাঠী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অন্য এলাকায় স্থানান্তর করায় লেখাপড়ার বেহালদশা তৈরি হয়েছে। এতে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসের নির্দেশে গ্রাম বাংলা বিদ্যাপীঠ মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন স্থানে একটি টিন শেডে বিদ্যালয়টি স্থানান্তর করা হয়। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী না আসায় শিক্ষকরা হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিয়ে চলে যাচ্ছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা তৃপ্তি রানী দাস বলেন, নতুন বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা না এলেও আমাদের আসতে হয়। কেন শিক্ষার্থীরা নতুন বিদ্যালয় আসছে না জানতে চাইলে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৪৩ সালে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হওয়ার পর বিদ্যালয়টি অন্যত্র নেয়ার জন্য স্থানীয় খবির উদ্দিন ও আবদুল লতিফ মীরের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। ওই বিরোধের কারণে আবদুল লতিফ মীর ১৯৯০ সালে বাদি হয়ে বরিশাল মুনসেফ আদালতে মামলা দায়ের করেন। ১৯৯২ সালে মামলায় আবদুল লতিফ মীর রায় পান। পরে ১৯৯৩ সালে খবিরউদ্দিন আপিল করে ১৯৯৪ সালে একতরফা রায় নিয়ে নেন। ১৯৯৫ সালে ওই রায়ের বিরুদ্ধে আবদুল লতিফ মীর হাইকোর্টে রিভিশন মামলা করেন। কিন্তু প্রতিপক্ষ হাইকোর্টের তথ্য গোপন করে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার অফিসে জেলা জজ আদালতের রায়ের কপিসহ আবেদন করেন।
পরে রমজানকাঠী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির পাঠদান কার্যক্রম সচল রাখার জন্য ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে নতুন ভবনের বরাদ্দ দেয় শিক্ষা অধিদফতর। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জজ আদালতের রায়ের কপি পেয়ে শিক্ষা অধিদফতর কর্তৃক বরাদ্দ ভবনের কাজ বন্ধ করে গ্রাম বাংলা বিদ্যাপীঠ মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন স্থানে বিদ্যালয়টি স্থানান্তর করে শিশুদের পাঠদানের ব্যবস্থার নির্দেশ দেন।
এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানববন্ধনও করেছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা