১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
কমেছে ডিম উৎপাদন

লালমোহনে হিটস্ট্রোকে মারা যাচ্ছে মুরগি

লালমোহনের রমাগঞ্জের একটি খামারে গরমে হাপাচ্ছে মুরগি : নয়া দিগন্ত -

প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে ভোলার লালমোহনের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ। গরমে স্বস্তি নেই জনজীবনে। বিরূপ প্রভাব পড়েছে কৃষি ও পোলট্রি খামারে। টানা পাঁচ দিন ধরে তাপমাত্রা রয়েছে ৩৫-৩৮ ডিগ্রি আবার মাঝে মধ্যে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর। এমন পরিস্থিতিতে মারা যাচ্ছে পোলট্রি খামারের মুরগি। কমতে শুরু করেছে ডিমের উৎপাদন।
পোলট্রি খামারিদের ভাষ্য, প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে মুরগি মারা যাচ্ছে। কারণ প্রতিটি খামারের চাল টিনের। আর রোদের তাপ টিনে বেশি লাগছে। যে কারণে মুরগির গরমও লাগছে বেশি। এই গরমে দিনে পাঁচ থেকে ছয়বার মুরগির শরীরে পানি ছিটিয়েও কাজ হচ্ছে না। স্ট্রোক করেই মারা যাচ্ছে মুরগি।
গত সোমবার দুপুরে লালমোহন উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব চরউমেদ গ্রামে সরেজমিন দেখা যায়, সেখানে অনেকগুলো লেয়ার মুরগির খামার রয়েছে। খামারে মুরগি পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কর্মচারীরা। কেউ মুরগির শরীরে পানি স্প্রে করছেন, কেউবা ডিম সংগ্রহ করছেন। অন্যদিকে খামারের ভেতর ঠাণ্ডা রাখতে চলছে বৈদ্যুতিক পাখা। কিন্তু, তাতেও যেন কাজ হচ্ছে না। মাঝে মধ্যে বিদ্যুৎ চলে যায়, মুরগিগুলো হাঁসফাঁস করছে গরমে।
একটি লেয়ার মুরগি খামারের শ্রমিক ইকবাল হোসেন বলেন, গরম শুরুর পর থেকেই খামারে মুরগির ছটফটানি শুরু হয়েছে। ফ্যানের বাতাসেও ঘর ঠাণ্ডা হচ্ছে না। প্রতিদিন কয়েকবার করে মুরগির শরীরে পানি ছিটিয়ে দেয়া হচ্ছে। এরপরও মুরগি মারা যাচ্ছে। তাদের এক খামারে দুই হাজার মুরগি ও অন্য এক খামারে ১৭ শ’ মুরগি রয়েছে বলে জানান জাকির মিয়ার মুরগির খামারের এই শ্রমিক। গত এক সপ্তাহে অন্তত ১০০টি মুরগি মারা গেছে। যে সব মুরগি গরমে রোগাক্রান্ত হচ্ছে তাদেরকে আলাদা করে যতœ নেয়া হচ্ছে। গত দুই-তিন দিনে বেশি মুরগি মারা গেছে।
উপজেলার পূর্ব চরউমেদ গ্রামের লামসি এলাকার লেয়ার মুরগি খামারের মালিক ব্যবসায়ী জাকির হোসেনের ভাই খামারের ইনচার্জ এমরান হোসেন বলেন, এ খামারে দৈনিক পাঁচজন কর্মচারী তদারকি করছেন মাছ ও মুরগি। মাসিক বেতনে তারা খামারে চাকরি করছেন, ইনচার্জ এমরান হোসেন আরো বলেন দু’টি খামারে প্রায় এক কোটি টাকা চালান দেয়া হয়েছে কিন্তু গরমের কারণে দিন দিন মুরগী মরে যাচ্ছে। কোনো ঔষধে কাজ হচ্ছে না। ডিম পাড়া মুরগির সংখ্যা ও কমে যাচ্ছে, খাদ্যের দাম বেশি ডিমের দাম কম তাই খামার টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে। গরম শুরুর পর থেকে মুরগিকে ওষুধ ও স্যালাইন দেয়া হচ্ছে। প্রাণিসম্পদ বিভাগের কোনো পরামর্শ পাচ্ছি না। গরমের কারণে ডিমের উৎপাদন কমে যাচ্ছে। গরমে স্ট্রোক করে মুরগি মারা যাচ্ছে। চতলা গ্রামের খামারি সেলিম মিয়া বলেন, ‘এমন তাপ আরো চলতে থাকল মুরগি গরমে রোগাক্রান্ত হয়ে বা স্ট্রোক করে মরে শেষ হয়ে যাবে। খুব দুশ্চিন্তায় আছি।’


আরো সংবাদ



premium cement
হামাসের সাথে চুক্তি চায় ৭২ শতাংশ ইসরাইলি গাজার উত্তরের সর্বশেষ অর্থোপেডিক সার্জন নিহত মালয়েশিয়ায় বাধ্য শ্রমের অভিযোগ : মামলার অনুমতি পেল বাংলাদেশী শ্রমিকরা বিজয় দিবসে নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই : ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি ইসলামি শ্রমনীতি বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে : মুহাম্মদ শাহাজাহান অভিবাসী ফেরত না নিলে সম্পর্ক ছিন্ন করার হুমকি ট্রাম্পের খুলনা রেলস্টেশনের স্ক্রিনে ভেসে উঠল ‘শেখ হাসিনা আবার আসবে’ ঘূর্ণিঝড় চিডোর কারণে ফ্রান্সের মায়োটে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি ঢাকায় পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট রামোস হোর্তা মুক্তিযোদ্ধা দলের মহাসমাবেশে যোগ দেবেন খালেদা জিয়া একই দিনে তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা বিপাকে

সকল