গলাচিপার সুস্বাদু মুগডাল যাচ্ছে জাপান
- হারুন অর রশিদ গলাচিপা (পটুয়াখালী)
- ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
বাংলাদেশের পরিবারগুলোর প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ভাতের পরই ডালের স্থান। এ দেশের প্রায় সব রকমের ডালই চাষ করা হয়। তবে এসবের মধ্যে মুগডাল অন্যতম। গলাচিপায় মাঠে মাঠে মুগডালের সমারোহ। এটি খেতে যেমন- সুস্বাদু, তেমনি চাষ করেও ভালো দাম পাওয়া সম্ভব। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মুগডালের আবাদ হলেও পটুয়াখালী, বরগুনা ও বরিশাল জেলায় আবাদ বেশি হয়। আর গলাচিপায় উৎপাদিত ডাল জাপানসহ বিদেশে রফতানি করা হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গলাচিপায় মুগডালের আবাদ হয়েছে ১৫ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে। এ ছাড়া ফেলন ডাল ৭৭০ হেক্টর ও খেসারি ডাল ৮৫০ হেক্টর জমিতে। এ বছর ডাল চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৪ হাজার ৫০০ হেক্টর। তবে তা ছাড়িয়ে গেছে। কম বেশি ডালের আবাদ করলেও চাষির সংখ্যা ২২ হাজার ৫০০। বর্তমান সরকার রবি মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা হিসেবে উপজেলার তিন হাজার ৫০০ চাষিকে বিনামূল্যে জনপ্রতি পাঁট কেজি করে বীজ মুগডাল বারী-৬, ২০ কেজি করে ড্যাব ও এমওপি সার বিতরণ করা হয়েছে।
এলাকাভেদে মুগের বপন সময়ের তারতম্য দেখা যায়।
রবি মৌসুমে বরিশাল অঞ্চলের জন্য বপনের উত্তম সময় হচ্ছে পৌষ-মাঘ মাস (জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ হতে ফেব্রুয়ারি মধ্য ভাগ)। আষাঢ় মাসে (মধ্য জুন থেকে মধ্য জুলাই) অবিরাম বৃষ্টিতে মুগের ফল পচে যায়। চৈত্র মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে (মধ্য মার্চ) বীজ বপন সম্পন্ন করতে পারলে আষাঢ় মাসের আগেই ফসল সংগ্রহ করা যায় এবং ফল পচনের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব হয়। তীব্র তাপদাহের কারণে কৃষক-কৃষাণীরা সূর্য উঠার আগ থেকেই ক্ষেতে ডাল তোলার কাজ শুরু করে।
সরেজমিন গেলে গলাচিপা সদর ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের কৃষক আবদুস ছালাম মৃধা জানান, ৬০ শতাংশ জমিতে আধুনিক পদ্ধতিতে মুগডাল চাষাবাদ করতে ৯ হাজার ৫০৭ টাকা খরচ হয়েছে। তার ২ মণ ডাল উৎপাদন হয়েছে যার বাজারমূল্য ৮ হাজার ৪০০ টাকা। আরো কিছু ডাল ক্ষেতে হতে পারে। তিনি জানান, প্রচণ্ড খরায় ডালের শাখা-প্রশাখা বাড়েনি। পাতা মুচরিয়ে রয়েছে। ফলন এ বছর কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি হলেই উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছেন।
গলাচিপা উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নাহিদ হাসান বলেন, আমাদের এখানে দেশী বা সোনামুগ, বারিমুগ-৬ এর চাষ হয়। বারিমুগ-৬ হেক্টরপ্রতি ফলন ১ থেকে ১.৫ টন। বিগত তিন চার বছর ধরে এই এলাকার মুগডাল গ্রামীণ ইউগ্লেনা কোম্পানির মাধ্যামে জাপান রফতানি হচ্ছে। তীব্র তাপদাহে মাটিতে রসের ঘাটতি দেখা দেয়ায় ডালের আকার ছোট ও ছড়ার সংখ্যা কম হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজু আক্তার জানান, প্রচণ্ড খরায় কৃষকরা বিপাকে রয়েছেন। আবহাওয়া অনুকূলে আসলে ফলন বৃদ্ধি পাবার সুযোগ রয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা