১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

কোটালিপাড়ায় বাঙ্গি চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা

-

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার কলাবাড়ি ও সাদুল্লাপুর ইউনিয়নে তরমুজ চাষের পরিবর্তে বাঙ্গি চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। সরেজমিনে কলাবাড়ি ইউনিয়নের কালিগঞ্জ টু গায়েন্দাসুর সড়কের দুপাশে সারি সারি বাঙ্গির স্তুপ দেখে এমনই চিত্র ফুটে উঠেছে। এমন অবস্থায় নড়ে চড়ে বসতে শুরু করেছেন এলাকার জ্ঞানী গুণিজন এবং কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা করছেন। দু-এক বছর আগে হাজার একর জমিতে শুধু তরমুজের ক্ষেতে ছিল চোখ জুড়ানো দৃশ্য, এসব এলাকার মধ্যে কলাবারি ইউনিয়নের কালিগঞ্জ, নলুয়া, চকপুকুরিয়া, তেঁতুলবাড়ি, হিজলবাড়ি, বৈকন্ঠপুর ফুলগাছা অঞ্চল অন্যতম। বর্তমানে সেখানে একটি জমিতেও তরমুজের আবাদ চোখে পড়ে না, চতুর্দিকে শুধু বাঙ্গি আর বাঙ্গির ক্ষেত চোখে পড়ে।
বাঙ্গি চাষি ও আরদ্দার সুমন হাজরা বলেন, তরমুজের বীজ অনেকাংশে নিম্নমানের হওয়ায় গাছ বড় হয়ে যখন তরমুজের ফুল আসে তখনই এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস গাছগুলোকে ধ্বংস করে দেয়, তখন আর ভালো ফলন পাওয়া যায় না, যে কারণে কৃষক মার খায়, অন্যদিকে বাঙ্গি চাষ করে কৃষক কেনোভাবে হলেও মোটামুটি বেঁচে থাকতে পারে বিধায় তারা বাঙ্গি চাষ করায় উদ্বুদ্ধ হচ্ছে।

চাষি কুলেশ্বর অধিকারী বলেন, সরকার যদি উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে ভালো মানের বীজ ও সার আমাদেরকে স্বল্প দামে সরবরাহ করত তাহলে তরমুজের রাজ্য হিসেবে পরিচিত কোটালীপাড়া উপজেলার এ কলাবারি ইউনিয়নে আমরা তরমুজ চাষ করে আবার সে সুদিন ফিরিয়ে আনতে পারতাম।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দোলন চন্দ্র রায় বলেন, হ্যাঁ বিষয়টি অনেকটাই সত্য যে, কোটালীপাড়ায় এখন আর আগের মতো করে তরমুজ চাষ করতে দেখা যায় না। এর কয়েকটি কারণ আমরা চিহ্নিত করেছি, সেগুলোর মধ্যে প্রথমত, জমিগুলো নিচু হওয়ায় চাষের আওতার আসতে একটু দেরি হয়। দ্বিতীয়ত, চাষিরা নিম্নমানের বীজ কিনে থাকে। তৃতীয়ত, রোগ বালাই দেখা দিলে উপজেলা কৃষি অফিসের সাথে তারা কোনোপ্রকার যোগাযোগ না করার কারনেও কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই আমাদের উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে তরমুজ চাষিদের তালিকা তৈরি করে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করা হবে, এবং আগামীতে তারা যাতে উন্নত মানের তরমুজের বীজ ও প্রয়োজনীয় সেবা পেতে পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement