১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

দৃষ্টিনন্দন আল-আমান বাহেলা খাতুন জামে মসজিদ

-

নান্দনিক নির্মাণশৈলী দ্বারা নির্মীত আল-আমান বাহেলা খাতুন জামে মসজিদ। এনায়েতপুর-সিরাজগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের বেলকুচি পৌর সদরে মসজিদটি অবস্থিত। মসজিদ ভবনটি যে কেউ প্রথম দেখলেই মনের অনুভূতি হবে, এ যেন সৃষ্টির সাথে সৃষ্টার এক অপূর্ব মেলবন্ধন। ২০২১ সালের ২ এপ্রিল শুক্রবার দেশের অন্যতম দৃষ্টিনন্দন, মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্যমণ্ডিত এই মসজিদটি জুমার নামাজের মধ্য দিয়ে উদ্বোধন করা হয়।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ২০০৯ সালের মুকুন্দগাতী গ্রামের কৃতী সন্তান শিল্পপতি মোহাম্মদ আলী সরকার বেলকুচি পৌর ভবন সংলগ্ন দক্ষিণে আড়াই বিঘা জায়াগার ওপর তার ছেলে আল-আমান ও মা বাহেলা খাতুনের নামে ‘আল-আমান বাহেলা খাতুন জামে মসজিদ’ কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজের ভিত্তি স্থাপন করেন। ২০১২ সালে মসজিদের মূল কাজ শুরু হয়। তিনি নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ৩০ কোটির বেশি টাকা ব্যয়ে নয়োনাভিরাম এ মসজিদটি নির্মাণ করেন। এটি নির্মাণে সময় লেগেছে প্রায় ৯ বছর।
স্থানীয় মুসুল্লি ও মসজিদ কমিটির প্রতিনিধিরা জানান, এ মসজিদে ছাই রংয়ের বিশাল আকৃতির মনোরম একটি গুম্বুজ রয়েছে। এ ছাড়া আটটি ছোট আকৃতির গুম্বুজ ও মেঝেতে সাদা রংয়ের ঝকঝকে টাইলস ও পিলারগুলোতে মার্বেল ও গ্র্যানাইড পাথর মোড়ানো। তৃতীয় তলায় গুম্বুজের সাথে লাগানো চীন থেকে আনা একটিসহ বেশ কয়েকটি ঝাঁড়বাতি লাগানো হয়েছে।
দুই পাশে নির্মাণাধীন ১১ তলা সমতুল্য (১১০ ফিট) উচ্চতার মিনার থেকে আজানের ধ্বনি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে। বেশ দূর থেকেই মসজিদের গুম্বুজ ও মিনার দু’টি দেখা যায়। মসজিদের চারপাশে সাদা রংয়ের পিলার, সুউচ্চ জানালা, সাদাটে রংয়ের টাইলস। চত্বরে পরিকল্পিতভাবে লাগানো সবুজ ঘাস। চার পাশে রংবেরংয়ের লাইটিংয়ে রাতের বেলা এক অন্যরকম আবহের সৃষ্টি হয়। সব মিলিয়ে বেশ শান্ত পরিবেশ। এ কারণে সামনের সদা ব্যস্ত সড়কের কোলাহল যেন স্পর্শ করে না মসজিদটিকে।
মসজিদের মুয়াজ্জিন ও ইমাম জানান, এখানে ইমাম ও মোয়াজ্জিনদের থাকার জন্য মসজিদের পাশে ১০ তলা ভবনে নিজস্ব কোয়ার্টার। পাঠাগার ও শৌচাগার রয়েছে। সেই সাথে মসজিদের প্রবেশ পথের দুই সিঁড়ির পাশে কাচে ঘেরা অটো ফিল্টার করা পানি দিয়ে ওজুর ব্যবস্থা আছে। এ ছাড়া ইতালি ও ভারত থেকে আনা উন্নতমানের মার্বেল পাথরসহ কাঠের কারুকাজে মসজিদের বিভিন্ন স্থানকে আকর্ষণীয় করতে নান্দনিক নকশার কাজ করা হয়েছে। বিশেষ করে মসজিদের সম্মুখের উচ্চ দু’টি সিঁড়ি এবং ব্যতিক্রমী প্রবেশ পথ ও প্রধান ফটক যে কারো দৃষ্টি কারে।


আরো সংবাদ



premium cement