দালালমুক্ত করতে গিয়ে চাপের মুখে কর্তৃপক্ষ
- জিললুর রহমান সাতক্ষীরা
- ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০০:৫৩
দালালমুক্ত করতে গিয়ে চাপের মুখে পড়েছেন সাতক্ষীরা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস কর্তৃপক্ষ। কতিপয় অসৎ কর্মকর্তা ও কর্মচারীর যোগসাজসে উপপরিচালকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
পাসপোর্ট অফিসে সেবা নিতে আসা ব্যক্তিদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, সাতক্ষীরা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে আগের চেয়ে সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্প্রতি পাসর্পোট অফিসে দালালের দৌরাত্ম কমে যাওয়ায় সেবাগ্রহীতাদের ভোগান্তি কমেছে। ফলে বদলে গেছে সাতক্ষীরা পাসপোর্ট অফিসের চিত্র।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমান উপপরিচালক মেহেদী হাসান চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরা আঞ্চলিক পাসপোর্ট আফিসে যোগদানের পর থেকেই অফিসকে দালালমুক্ত করার প্রচেষ্টা শুরু করেন। পাসপোর্ট অফিস এখন অনেকটা দালালমুক্ত। অফিসে এখন কোনো ফাইল পেন্ডিং থাকে না। উপপরিচালক সার্বক্ষণিক প্রতিটি টেবিলে গিয়ে দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কাজের নির্দেশনা দিচ্ছেন। এর আগে তিনি যশোরে পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত ছিলেন।
সাতক্ষীরা শহরের পলাপোল এলাকায় প্রাণসায়ের খালপাড়ে ২০১৪ সাল থেকে নিজস্ব ভবনে কার্যক্রম শুরু করে অফিসটি। জানা যায়, সাতক্ষীরা আঞ্চলিক পাসপোর্ট আফিসে প্রতিদিন গড়ে ৪০০-৫০০ জন সেবাপ্রত্যাশীর সমাগম ঘটে পাসপোর্ট জমা ও সংগ্রহের জন্য।
সাতক্ষীরা আঞ্চলিক পাসপোর্ট আফিস সূত্রে জানা যায়, গত এক বছরে সরকার সাতক্ষীরা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে রাজস্ব আদায় করেছে আট কোটি ২১ লাখ ২৫ হাজার টাকা। এখানে প্রতিদিন প্রায় ২০০ থেকে ২৫০টি আবেদন জমা এবং একই পরিমাণ পাসপোর্ট ডেলিভারি দেয়া হয়।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বর ফেরদৌসি ইসলাম মিষ্টি জানান, তার দুই ছেলের কিডনি রোগে ভুগছে। ভারতে চিকিৎসার জন্য পাসপোর্ট করতে গিয়েছিলেন সাতক্ষীরা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে। কিন্তু পুরাতন পাসপোর্টের সাথে জাতীয় পরিচয়পত্রের কিছুটা ভুল থাকায় পাসপোর্ট করতে পারছিলেন না। দালালের খপ্পরে পড়ে অনেক টাকাও নষ্ট করেছেন। তিনি সরাসরি উপপরিচালকের সাথে কথা বলার মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে তার দুই ছেলের পাসপোর্টের ব্যবস্থা করে দেন বর্তমান উপপরিচালক মেহেদী হাসান।
সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল এলাকার সিরাজুল ইসলাম জানান, বর্তমান সময়ে সাতক্ষীরা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে একজন সৎ ও দক্ষ কর্মকর্তার পদায়ন হয়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কিছু দালাল, অসৎ কর্মকর্তা ও কর্মচারীর যোগসাজসে উপপরিচালকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে।
দালালদের হুমকি প্রসঙ্গে উপপরিচালক মেহেদী হাসান বলেন, আমি সবধরনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে কঠোর ও আপসহীন। সেবা প্রদানই আমার মূল লক্ষ্য। সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে অফিসে হেল্প ডেস্ক চালু করা হয়েছে। অসুস্থ, মুক্তিযোদ্ধা ও মহিলাদের জন্য আলাদা কাউন্টারের ব্যবস্থা রয়েছে। কর্মস্থলে সেবার মান বৃদ্ধি পাওয়ায় ইতঃপূর্বে জেলা পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তা নির্বাচিত হয়েছেন বলে জানান তিনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা