ব্যতিক্রমী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শাহরাস্তির জেএমজিএসসি
- চাঁদপুর প্রতিনিধি
- ২১ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০৫
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে অবস্থিত এক ব্যতিক্রমধর্মী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জোবেদা মতিন গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ-জেএমজিএসসি। এটি শাহরাস্তির সুয়াপাড়া এলাকায় অবস্থিত। স্কুলটি গড়ে তুলেছেন এলাকার একটি পরিবার, যার সদস্যরা সবাই থাকেন যুক্তরাষ্ট্রে।
চাঁদপুরের এ পরিবারটির সদস্যরা সবাই শিক্ষিত এবং প্রতিষ্ঠিত। দেশমাতৃকার প্রতি এক অদৃশ্য টানে তারা উদ্যোগ নেন একটি স্কুল প্রতিষ্ঠার। সেই ভাবনা থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের আদলে গড়ে তোলা হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি।
জেএমজিএসসির চেয়ারম্যান ওই পরিবারেরই এক সদস্য, মিজান রহমান। তিনিও যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। পেশায় পাইলট ছিলেন। বছরে কয়েকবার দেশে আসেন মূলত দেশকে ভালোবেসে, এ প্রতিষ্ঠানের টানে। গত ফেব্রুয়ারিতে দেশে এসেছিলেন। তিনি জানান, তার বাবা মতিন সাহেব ছিলেন শিক্ষানুরাগী একজন মানুষ। সুয়াপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়টি গড়ে তোলার পেছনেও তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেছেন।
মিজান রহমানের বাবা-মা মারা যাওয়ার পর তারা জন্মভূমির নিজ এলাকায় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার চিন্তা করতে থাকেন। সেই ভাবনা থেকেই মায়ের নামে তারা স্থানীয় মেয়েদের জন্য গড়ে তোলেন জোবেদা মতিন গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এটি একটি ট্রাস্টের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। মিজান রহমান জানান, পৈতৃক সম্পত্তিতে তারা স্কুলটি করেছেন। পাঁচতলা চমৎকার ভবনটিতে লিফট আছে। ক্লাসরুমগুলো বেশ বড় ও খোলামেলা। প্রতিটি ফ্লোরের মধ্যে অনেক খোলা জায়গা রাখা হয়েছে। রয়েছে কম্পিউটার ল্যাব। স্কুলভবনের সামনে বড় মাঠ। চারদিকে বাউন্ডারি। ঢুকলেই মনে হবে আপনি সত্যিকার অর্থেই একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঢুকেছেন।
জেএমজিএসসি একটি ইংলিশ ভার্সন (ইংলিশ মিডিয়াম নয়) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ২০২২ সালের শেষ দিকে জেএমজিএসসির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু। সেশন শুরু হয়েছে ২০২৩ সালে। প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী রয়েছে। বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৫২ জন।
জেএমজিএসসির প্রিন্সিপাল ড. মো: মশিউর রহমান ইতোপূর্বে ঢাকার একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। ঢাকা ছেড়ে কেন মফস্বলে এলেন জানতে চাইলে মশিউর রহমান বলেন, তিনি শিক্ষকতাকে সমাজসেবা হিসেবেই দেখেন। চাকরি হিসেবে নয়। এ প্রতিষ্ঠানে উদ্যোক্তারাও শিক্ষাকে এভাবেই দেখেন। তাই এখানে কাজ করেই আমি পরিতৃপ্ত।
জেএমজিএসসি পরিচালনায় কী কী সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন জানতে চাইলে মিজান রহমান বললেন, ভালো শিক্ষকের সংকট। ইংরেজি জানেন এমন শিক্ষক মফস্বলে আসতে চান না। যদিও শিক্ষকদেরকে ভালো বেতন ও আবাসিক সুবিধা দেয়া হচ্ছে।
ইয়াসমিন আখতার নামে এক অভিভাবক জানান, তিনি গৃহিণী। স্বামী থাকেন দুবাই। তার মেয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। তিনি আরো জানান, এখানে ভালো পড়াশুনা হয়। পরিবেশ ভালো। শিক্ষকদের ব্যবহার চমৎকার।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা