১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

গোয়ালন্দে মহাসড়কের পাশে ঔষধি আকন্দ গাছের ব্যাপক ফলন

-


রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশে দৌলতদিয়ায় ফিড মিলস সংলগ্ন পরিত্যক্ত প্রায় তিন একর জায়গাজুড়ে গজিয়ে উঠেছে ঔষধি গুণে ভরা ভেষজ উদ্ভিদ আকন্দ বাগান। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা কবিরাজ ও হেকিমি দাওয়াখানার লোকজন এই বাগান থেকে আকন্দ গাছের শিকড় ও পাতা তুলে নিচ্ছেন।
আকন্দ গ্রামাঞ্চলের একটি অতি পরিচিত ভেষজ উদ্ভিদ। এই উদ্ভিদটি অনেকের চেনাজানা থাকলেও এর ঔষধি গুণের বিষয়টি অনেকের কাছেই অজানা। আকন্দ একপ্রকার গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। সাধারণত সাদা ও লাল দুই ধরনের আকন্দ রয়েছে। সাদা আকন্দের ফুলের রঙ সাদা ও লাল আকন্দের ফুলের রঙ বেগুনি বর্ণের।

গাছের পাতা ছিঁড়লে বা কাণ্ড ভাঙলে দুধের মতো সাদা কষ বের হয়। ফল সবুজ, অগ্রভাগ দেখতে পাখির ঠোঁটের মতো। বীজ লোমযুক্ত, বীজের বর্ণ ধূসর কিংবা কালচে হয়ে থাকে। বাংলাদেশ ছাড়াও এ উদ্ভিদটি ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ভারত, চীন, পাকিস্তান ও নেপালে পাওয়া যায়। আকন্দ, অর্ক, মান্দার, মাদার, আক, আকওয়ান প্রভৃতি স্থানীয় নামেও পরিচিত এটি।
আকন্দ গাছ সংগ্রহ করতে আসা একজন কবিরাজ বলেন, বায়ুনাশক, উদ্দীপক, পাচক, পাকস্থলীর ব্যথা নিবারক, বিষনাশক, ফোলা নিবারকসহ নানা ধরনের ঔষধি গুণ রয়েছে গাছটিতে। এটি প্লীহা, দাদ, শোথ, অর্শ্ব, ক্রিমি ও শ্বাসকষ্টে ভীষণ উপকারী। ব্রন, কোষ্ঠকাঠিন্য, বুকে কফ, খোসপাঁচড়া, একজিমায় আকন্দের পাতা, কাণ্ড ও মূলের ব্যবহার রয়েছে। এ গাছের ফুল বহুমূত্র রোগের জন্য বিশেষ উপকারী।
এ ছাড়া গাছের ফুলে রয়েছে প্রচুর মধু জাতীয় উপাদান। কিন্তু এর ফুলের পাপড়িগুলো শক্ত হওয়ায় সাধারণ মৌমাছিরা তা সংগ্রহ করতে পারে না। তবে কালো জাতের ভোমরা তার শক্তিশালী লম্বা চোষক হুল দিয়ে ওই মধু উপাদান চুষে নিতে পারে। এ কারণে কালো ও বিষাক্ত ভোমরাকে এই গাছের ফুলে ফুলে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়।

 


আরো সংবাদ



premium cement