রঘুখালি সেতুর নির্মাণকাজ রেখে ৩ বছর ধরে লাপাত্তা ঠিকাদার
- আল আমিন কিশোরগঞ্জ
- ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
কিশোরগঞ্জ সদরের শোলাকিয়ার রঘুখালি এলাকায় নরসুন্দা নদীর ওপর একটি পুরনো সেতু ভেঙে নতুন সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিল স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)। উদ্যোগটি নেয়া হয় ২০২১ সালে এবং নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালের ৩০ জুন। সেই মেয়াদ শেষ হয়েছে প্রায় দুই বছর হতে চলল। অথচ ঠিকাদার সেতুর মূল কাজে হাত না দিয়েই নদীর দুই পাশে অসম্পূর্ণভাবে দু’টি গার্ডার নির্মাণ করে লাপাত্তা হয়ে আছেন প্রায় তিন বছর ধরে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সেতুর নির্মাণকাজ বন্ধ রেখে ঠিকাদার কয়েক লাখ মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলে দিয়েছেন। বিকল্প সড়ক পথে প্রায় ৮-১০ কিলোমিটার পথ ঘুরে আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে তাদেরকে। স্থানীয়রা শুকনো মৌসুমে হেঁটে নদী পারাপারের জন্য একটি কাঠের ছোট সাঁকো তৈরি করলেও সেটার অবস্থাও এখন জরাজীর্ণ।
নরসুন্দা নদীর রঘুখালি সেতুর একদিকে শোলাকিয়া, গাছবাজার, কোটশোলাকিয়া, হাজরাদী, বাদেশোলাকিয়া, রঘুখালি, ইশা খাঁ পল্লী ও কাদির জঙ্গলের পাঠানপাড়া গ্রাম। অন্য দিকে ছয়না, রাজকুন্তি, বৌলাইসহ ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম রয়েছে। দুই পাড়ের মানুষ নদী পারাপারে এই রঘুখালি সেতুটিই ব্যবহার করেন।
সেতুর দক্ষিণ দিকের গ্রামগুলোর মাঠে প্রচুর সবজি, ধান, পাট ও গম হয়। নদী পারাপারে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল কিশোরগঞ্জ শহরে নিয়ে যেতে আগের পুরনো সেতুটি ব্যবহার করা যেত। কিন্তু এখন সেটাও পারছেন না তারা। স্থানীয় বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম বলেন, তিন বছর আগে পুরনো সেতুটি ভেঙে নতুন সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। শুরুতে দুই পাশে দুটি গার্ডার নির্মাণ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রায় তিন বছর ধরে হাওয়া হয়ে গেছে। নির্মাণকাজ আটকে থাকায় যাতায়াতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
এ দিকে এলজিইডি বলছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ না করায় চুক্তিপত্র বাতিল করা হয়েছে। নতুন করে আবারো দরপত্র আহ্বান করা হবে। সদর উপজেলা প্রকৌশল অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ৪০ মিটার দৈর্ঘ্যরে পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এইচটিবিএল সার্চের (জেবেকা) ও সাব-ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কিশোরগঞ্জের মেসার্স এস আলম চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল। প্রায় সোয়া তিন কোটি টাকা বরাদ্দে সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০২১ সালের ১৭ মার্চ। কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালের ৩০ জুন।
এলজিইডির কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের উপজেলা প্রকৌশলী মোজাম্মেল হক এ বিষয়ে নয়া দিগন্তকে বলেন, সেতুটির নিচের পাইলিংসহ দুই পাশের দুটি গার্ডার নির্মাণ করে ওপরের স্যাবের কাজ বাকি রেখে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লাপাত্তা হয়ে গেছে। এক বছর আগে তাদের চুক্তিপত্র বাতিল চেয়ে ঢাকায় সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালকের কাছে চিঠি দেয়া হয়েছে। চিঠির অনুমোদন পেলে নতুন করে এস্টিমেট করে বাকি কাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হবে।
বিষয়টি জানতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কিশোরগঞ্জের এস আলমের স্বত্বাধিকারী এস আলমের মোবাইল ফোনে বার বার চেষ্টা করলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা