১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১ পৌষ ১৪৩০, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

লংগদুতে ঈদকে ঘিরে শেষ মুহূর্তে দোকানে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়

ব্যস্ত সময় পার করছেন লংগদুর ব্যবসায়ীরা : নয়া দিগন্ত -

আসন্ন ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার সর্বত্র জমজমাট হয়ে উঠেছে কেনাকাটা। সেই সাথে মার্কেট আর বিপণিবিতানগুলো সেজেছে নতুন সাজে। প্রতিটি মার্কেটে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন পোশাকে ভরে উঠেছে। শোভা পাচ্ছে বাহারি রঙ আর ডিজাইনের পোশাক। জমজমাট বেচাকেনা হওয়ায় প্রতিটি মার্কেটে যেন ক্রেতাদের ভিড়। পরিবারের সদস্য আর স্বজনদের চাহিদা মেটাতে পছন্দের পোশাকের খোঁজে ছুটছেন তারা এক দোকান থেকে অন্য দোকানে।
এ দিকে এবারের ঈদকে সামনে রেখে লংগদু উপজেলার মার্কেটগুলো দখল করে আছে দেশীয় পোশাকের পাশাপাশি ভারতীয়সহ ভিন্ন দেশের পোশাক। এবার রোজার শুরু থেকেই কেনাবেচা শুরু হওয়ায় ব্যবসায়ীরা বেজায় খুশি।
সরেজমিনে দেখা যায়, লংগদু উপজেলার বৃহত্তম মাইনী মুখ বাজারের বিভিন্ন দোকানে নারী-পুরুষের উপচে পড়া ভিড়। চলছে জমজমাট কেনাবেচাও। এবারের ঈদে তরুণীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে, আলিয়া কাট, নায়রা, ঘারারা ও সারারা, নূরস, আঘানূর, মারিয়াবি, পার্সি, দিল্লি বুটিকস, ছানাছাফিনাসহ নানা নামের থ্রিপিস। তা ছাড়া মাইনী মুখসহ উপজেলার বিভিন্ন ছোট বাজারের দোকানগুলোতে শোভা পাচ্ছে স্কাট, টপস, থ্রিপিস, জামদানি শাড়ি, বেনারসি, কাতান, সিল্ক, জর্জেট জয়পুরী, ছেলেদের নবাবী ও সুলতা পাঞ্জাবি, ফতুয়া, টি শার্ট, প্যান্ট এবং ছোট ছেলেমেয়েদের জন্য বাহারি ডিজাইনের তৈরী পোশাক, জামদানি বেনারসি, কাতান, সিল্ক, জর্জেট জয়পুরী শাড়ি।
মাইনী মুখ বাজারের সাতকানিয়া গার্মেন্টসের ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম বলেন, এবার বেচাকেনা অন্যান্য বছরের তুলনায় কিছুটা কম হলেও আলহামদুলিল্লাহ মোটামুটি হচ্ছে। মাইনী মুখ বাজারের মোর্শেদ গার্মেন্টসের ব্যবসায়ী মোর্শেদ জানান, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার ঈদের কেনাকাটা রোজা শুরু থেকেই মোটামুটি জমে উঠেছে। দোকানে ক্রেতাদের চাহিদানুযায়ী নিত্যনতুন বাহারি ডিজাইনের পোশাক আনা হয়েছে।
লংগদু উপজেলার রাঙিপাড়া এলাকার গৃহিণী নূর আয়শা বেগম বলেন, এবার ঈদে তার মেয়ের পছন্দ ভারতীয় আলিয়া কাট ড্রেস। বেশ কয়েকটি দোকান ঘুরে কয়েকটি ড্রেস দেখে পরে ৩,২০০ টাকায় আলিয়া কাট কিনেছি। এই ড্রেস কিনতে পেরে মেয়ে মহাখুশি। ইয়াছিন আলী বলেন, অনেক ঘুরে দেখে ছেলের জন্য শার্ট ও প্যান্ট স্ত্রীর থ্রিপিস এবং দুই মেয়ের জন্য প্রিন্টের থ্রি পিস কিনে দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এবার ঈদের পোশাকের দাম তুলনামূলক অনেক বেশি।
গৃহিণী মরিয়ম আক্তার বলেন, ছেলে ও মেয়ের জন্য ঈদ পোশাক কিনতে বাজারে আসা। অনেক পোশাক দেখেছি কিন্তু মনে হচ্ছে পোশাকের অনেক দাম।
এ দিকে ঈদে লংগদু উপজেলায় গজ কাপড়ের কদরও কমেনি। বেশির ভাগ নারী নিজেদের মনের মতো করে পছন্দের নকশা তৈরি করে গজ কাপড় কিনে পোশাক বানাচ্ছেন। একরঙ্গা, চিকেন জর্জেট, মাখন সিল্ক, ক্রাশড চায়না জর্জেট, টিসুসহ বিভিন্ন রকমের গজ কাপড় বিক্রি হচ্ছে দোকানগুলোতে। তা ছাড়া জুতা, চুড়ি, কসমেটিকস আর ফুটপাথের দোকানগুলোতে সমান তালে স্বল্প আয়ের লোকজন কেনাকাটা করছেন।


আরো সংবাদ



premium cement