১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বগুড়ায় সাহরি ইফতারেও বিদ্যুৎ মিলছে না

-

চৈত্রের শেষের দিকে বগুড়ায় তাপদাহের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লোডশেডিং। রমজানের শেষ দিকে এমন তীব্র গরমে রোজাদারসহ সাধারণ মানুষের নিদারুণ কষ্ট শুরু হয়েছে। বিশেষ করে ইফতার ও সাহরির সময় লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে নিদারুণ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীর।
নর্দান ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) বগুড়া অফিস জানায়, গ্রাহকসেবার সুবিধার্থে বগুড়া শহরকে বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ চারটি অঞ্চলে ভাগ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে সংস্থাটি। এ ছাড়া জেলার দুপচাঁচিয়া, শেরপুর ও শিবগঞ্জ উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে নেসকো। এই চার অঞ্চলে দৈনিক গড়ে বিদ্যুতের চাহিদা ১০০ মেগাওয়াট। বিপরীতে জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ মিলছে ৭০ মেগাওয়াট পর্যন্ত। চাহিদার তুলনায় গড়ে ৩০ শতাংশ কম সরবরাহ মিলছে। ফলে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টায় গড়ে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে।
অপর দিকে বগুড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ১ ও ২ জেলার সব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। বগুড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি- ১ এর জেনারেল ম্যানেজার মোনয়ারুল ইসলাম ফিরোজী বলেন, এই আওতায় বিদ্যুতের চাহিদা ৮৮ মেগাওয়াট। চাহিদানুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ না পাওয়ায় দিন-রাতে ২০ থেকে ৩০ ভাগ সময় লোডশেডিং করতে হচ্ছে।
বগুড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার আমজাদ হোসেন বলেন, আমাদের আওতাধীন অঞ্চলে বিদ্যুতের চাহিদা গড়ে ৮০ মেগাওয়াট। সরবরাহ মিলছে ৬৫ থেকে ৭০ মেগাওয়াট। ২৪ ঘণ্টায় বিদ্যুতের ঘাটতি থাকছে ১০ থেকে ১৫ মেগাওয়াট। ফলে দিন-রাতে ১৫ ভাগ সময় লোডশেডিং করতে হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement