১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

আমতলী-ঢাকা রুটে ৯ মাস ধরে লঞ্চ চলাচল বন্ধ

-

যাত্রী সঙ্কটে গত ৯ মাস ধরে আমতলী-ঢাকা নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রী ও ঢাকায় কম খরছে মালামাল আনা-নেয়া করা ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া লঞ্চঘাটে কর্মরত অর্ধ শতাধিক মানুষও বর্তমানে কর্মহীন হয়ে পড়ছেন।
মূলত ২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু খুলে দেয়ার পর যাত্রী সঙ্কটে পড়ে দক্ষিণাঞ্চলে যাতায়াত করা লঞ্চগুলো। এতে আমতলী-ঢাকা নৌরুটে লঞ্চ চলাচল একেবারে অনিয়মিত হয়ে পড়ে। তবে, গত বছরের ২০ জুলাই থেকে এ রুটে লঞ্চ সার্ভিস একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়।
এ দিকে লঞ্চ সার্ভিস বন্ধ থাকায় ঢাকা থেকে স্বল্প খরচে দক্ষিণাঞ্চলে মালামাল আনা-নেয়া করতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। এতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের উপরে প্রভাব পড়ছে। লঞ্চযাত্রী জুয়েল, কামরুল, সাকিলা ও কেয়ামনি বলেন, অসুস্থ থাকায় গাড়িতে উঠতে পারি না। তাই লঞ্চে ঢাকায় যেতেই সুবিধা ছিল। লঞ্চ সার্ভিসটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন সমস্যায় পড়েছি। আমতলী মাতৃছায়া বস্ত্রালয়ের মালিক জি এম মুছা বলেন, লঞ্চে অল্প খরচে ঢাকা থেকে মালামাল আনা যেত। কিন্তু সার্ভিস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেশি খরচে সড়ক পথে মালামাল আনতে হচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে দ্রব্যমূল্যের উপর।
আমতলী লঞ্চঘাট সুপারভাইজার শহীদুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, লঞ্চ সার্ভিস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমতলী লঞ্চঘাটের অর্ধ শতাধিক শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ সমস্যায় পড়েছেন।
ইয়াদ লঞ্চ মালিক মামুন-অর রশিদ বলেন, যাত্রী সঙ্কটের কারণে লোকসানে পড়ে লঞ্চ সার্ভিস বন্ধ রেখেছি। তবে, সামনে ঈদের যাত্রী বহনের জন্য শুক্রবার থেকে ফের লঞ্চ সার্ভিস চালু করা হবে।
বরগুনা বিআইডব্লিউটির সহকারী নৌবন্দর কর্মকর্তা নিয়াজ মোহাম্মদ খান বলেন, পবিত্র ঈদকে সামনে রেখে লঞ্চ সার্ভিস চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আশা করছি, ঈদ পরবর্তী সময়েও এ সার্ভিস চালু রাখা যাবে।


আরো সংবাদ



premium cement