১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

আওয়ামী লীগ ছাড়া মাঠে নেই কেউ

কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন
-

আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী মাঠে থাকলেও বিএনপি, জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলনসহ অন্য কোনো দলের প্রার্থীরা মাঠে নেই। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী চতুর্থ দফায় ৬ জুন কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
ফলে গত সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের নিজেদের মধ্যেই প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্ভাবনা রয়েছে। এরই মধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীরা আগাম প্রচার-প্রচারণায় দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করছেন।
দল থেকে একাধিক প্রার্থীর এ প্রতিদ্বন্দ্বিতা আওয়ামী লীগকে দলীয় দ্বিধাবিভক্ত করলেও নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করতে তারা এমন কৌশল নিয়েছে। এতে আপাতদৃষ্টিতে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হলেও সব দল অংশগ্রহণ না করায় এ নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাবে।
উপজেলা নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও দুইটি পৌরসভার ভোট সংখ্যা দুই লাখ এক হাজার ১৯৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ দুই হাজার ৪৩, মহিলা ভোটার ৯৯ হাজার ১৪৯।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর উপজেলা নির্বাচনের প্রথম দফা থেকে চতুর্থ দফায় প্রস্তুতি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিষয়টি জানার পরই সরব হয়েছেন পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। কেউ কেউ তফসিল ঘোষণার অপেক্ষায় রয়েছেন। এবার আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ সুযোগে দলটি থেকে একাধিক নেতার নাম সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে শোনা যাচ্ছে। নিজের প্রার্থিতা জানান দিচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিচ্ছেন কেউ কেউ আবার কারো পক্ষে ফেসবুকে ছবি পোস্ট করে দোয়া চাইছেন তার কর্মী, সমর্থকরা, কেউ পোস্টার ছাপিয়ে দোয়া চাইছেন। এ ছাড়া শহর ও গ্রামের হাটবাজারে গিয়ে ভোটারদের সাথে হাত মিলিয়ে, আলিঙ্গন করে দোয়া চাইছেন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীরা। ভোটাররাও এবার স্থানীয় সরকার পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক ও সমর্থন না থাকায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একাধিক প্রার্থী দলীয় সমর্থন পেতে লবিং, তদ্বির শুরু হয়েছে।
প্রার্থীদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের জন্য দোয়া চাইছেন যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামিম আল সাইফুল সোহাগ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব তালুকদার, জেলা কৃষক লীগ নেতা ও সাবেক টিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ আকতারুজ্জামান কোক্কা, উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক শাহিনা পারভিন সীমা। ভাইস চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকায় রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল আলম বাবুল, দফতর সম্পাদক মো: ইউসুফ আলী, শ্রমিক লীগের সভাপতি হীরা হাওলাদার স্বপন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সম্পাদক ফয়জুর রহমান আশিক তালুকদার, আওয়ামী লীগ নেতা নিজাম উদ্দিন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে ইচ্ছুক প্রার্থীদের তালিকায় রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা উম্মে তামিমা বীথি, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদিকা রোজিনা আখতার, কামনুহার মলি, রাশেদা বেগম।
আওয়ামী লীগের উপজেলা দপ্তর সম্পাদক অধ্যাপক ইউসুফ আলী বলেন, আমি ইতোমধ্যে কয়েকটি ইউনিয়নে গণসংযোগ করেছি। সেখানে জনগণের ব্যাপক সারা পাচ্ছি। ইনশা আল্লাহ নির্বাচনে আমার বিজয় সুনিশ্চিত।
যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামিম আল সাইফুল সোহাগ বলেন, আমি উপজেলা পরিষদে নির্বাচিত হতে পারলে উপজেলা পরিষদকে স্মার্ট উপজেলা পরিষদ হিসেবে গড়ে তুলবো। আমি দীর্ঘ দিন থেকে মাঠে কাজ করছি। জনগণের ভালো সারা পাচ্ছি।
আওয়ামী লীগের উপজেলা সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব তালুকদার বলেন, আমি কয়েকটি এলাকায় জনগণের সাথে গণসংযোগ করেছি। আমি মাঠে আছি ও আমার বিজয় হবেই।


আরো সংবাদ



premium cement