বাকপ্রতিবন্ধী সুমাইয়া উচ্চশিক্ষিত হয়ে স্বাবলম্বী হতে চায়
- সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
- ০১ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০৫
বাকপ্রতিবন্ধী সুমাইয়া পারভীন (১৬) পরিবারের সাথে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী ইউনিয়নের ঝাপালী গ্রামে বসবাস করে। সুমাইয়ারা পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে আরো দুই ভাই প্রতিবন্ধী। অর্থ সঙ্কটে সুমাইয়া তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করলেও তার অন্য ভাইবোনেরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চৌকাঠ পার হতে পারেনি।
সুমাইয়ার বাবা দিনমজুর জাহাঙ্গীর আলম জানান, উত্তরণের এডুকো প্রকল্পের ব্রিজ স্কুলে সুমাইয়া ভর্তি হয়েছে। সে অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে প্রতি মাসে এক হাজার টাকা আয় করে, যা আমার হাতে তুলে দেয়। সুমাইয়া এখন কাজ করার পাশাপাশি নিয়মিত স্কুলে যাচ্ছে। সুমাইয়া পড়া মুখে বলতে না পারলেও লিখে দেখাতে পারে।
সুমাইয়া লিখে বোঝায়, আমি আগামীতে ভকেশনাল ট্রেনিং করতে চাই, যাতে স্বাধীনভাবে কাজ করে আমার পরিবারকে সহযোগিতা করতে পারি। আমি স্বাবলম্বী হতে চাই।
সুমাইয়ার মা তারামনি বেগম চান, তার মেয়ে লেখাপড়া করে ভালোভাবে জীবনযাপন করুক। এজন্য তিনি উত্তরণ ও এডুকোকে ধন্যবাদ জানান।
উত্তরণের এডুকো প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক নাজমা আক্তার বলেন, শ্যামনগর উপজেলায় কাশিমাড়ী, বুড়িগোয়ালিনি, গাবুরা ও মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নে এডুকো প্রকল্পের চারটি ব্রিজ স্কুলে ৩৫০ জন শ্রমজীবী শিশুর শিক্ষাদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। শ্যামনগর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এনামুল হক জানান, মূলত ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমে নিয়োজিত স্কুলবহির্ভূত শিশুদের শিক্ষার মূল স্রোতে আনার জন্যই এ ব্যবস্থা। এটি দুর্গম ও পিছিয়ে পড়া উপকূলীয় এলাকায় অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখছে।
কাশিমাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান গাজী আনিছুজ্জামান আনিচ বলেন, উত্তরণের এডুকো প্রকল্প ঝুঁঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে। বাকপ্রতিবন্ধী সুমাইয়ার মতো অনেকেই এখানে পড়ালেখা শিখতে পারছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা