নিলাম জটিলতায় নষ্ট হচ্ছে কোটি কোটি টাকার গাড়ি-নৌযান-যন্ত্রাংশ
- গোলাম কিবরিয়া বরগুনা
- ৩০ মার্চ ২০২৪, ০১:৪১
বরগুনায় বছরের পর বছর ধরে পড়ে আছে বিভিন্ন সরকারি দফতরের কোটি কোটি টাকা মূল্যের পুরনো গাড়ি, নৌযানসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ। নিলাম জটিলতার কারণে এসব মালামাল অযতœ অবহেলায় পড়ে থেকে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে। অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশ।
সরেজমিনে বরগুনা জেলা প্রশাসকের নৌযান ঘাট ঘুরে দেখা যায়, বহু বছর ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে কোটি কোটি টাকা মূল্যের স্পিড বোট। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দ্রুতসময়ে নিলাম না হওয়ায় ঘাটে পড়ে থাকা এসব নৌযান এখন ধ্বংসের পথে। একই অবস্থা দেখা যায় বরগুনা পৌরসভায়। যথাসময়ে নিলাম না হওয়ায় নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরনের গাড়ি। জেলার বিভিন্ন দফতরেও রয়েছে এমন চিত্র। রাষ্ট্রের অর্থে ক্রয় করা এবং অযতেœ ফেলে রাখা এসব গাড়ি, নৌযান ও যন্ত্রাংশ যথাসময়ে নিলাম না হওয়ায় কোটি কোটি টাকা মূল্যের রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট হয়ে যাচ্ছেথ।
স্থানীয় অধিবাসী সেতু আক্তার বলেন, বিভিন্ন দফতরের গাড়ি ও নৌযানগুলো সামান্য ত্রুটির কারণে অকেজো হয়ে পড়ে আছে। সেগুলো মেরামতের মাধ্যমে ব্যবহার উপযোগী করা যেত। অথবা যথারীতি নিলামে বিক্রি করা যেতো। রাষ্ট্রকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে এসব সম্পদ ব্যবহার উপযোগী করে নেয়া উচিত। এতে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে কিছু অর্থ তো জমা হবে।
এ বিষয়ে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক এ কে এম নাজমুল আহসান বলেন, আমাদের হাসপাতালে পড়ে থাকা অ্যাম্বুলেন্স ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নিলামে বিক্রি করতে একটি কমিটি রয়েছে। স্থানীয়ভাবে যেগুলো নিলাম করা যায়, সেগুলো আমরা প্রতি বছরই নিলামে বিক্রি করে দিই। তবে, বড় বড় যন্ত্রাংশ নিলাম করার জন্য সরকার থেকে আলাদা একটি কমিটি আছে। সেগুলো নিলামের জন্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব, যিনি ওই কমিটির সভাপতি, তার কাছে আবেদন করতে হয়। আর এসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে অযথাই কালক্ষেপণ হয়।
বরগুনা পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান মহারাজ বলেন, পৌরসভার নিলাম প্রক্রিয়ায় প্রথমে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হয়। বিআরটিএ থেকে অনুমতি নেয়ারও প্রয়োজন পড়ে। বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে হওয়ার পর নিলামের জন্য চূড়ান্ত অনুমতি পাওয়া যায়। আর তখনই নিলাম প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম বলেন, অকেজো বা পরিত্যক্ত ঘোষণা করার জন্য জেলাপর্যায়ে কমিটি আছে। সরকারি কোনো দফতরে যদি এ ধরনের কিছু আমাদের নজরে আসে সেক্ষেত্রে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করি। বরগুনাতে এরকম কিছু থাকলে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করব, যাতে সরকারের ওই সম্পদগুলো নষ্ট না হয়ে যায়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা