কুমিল্লা-৩ এ জাহাঙ্গীর আলম প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ায় বেকায়দায় নৌকার প্রার্থী
- মুরাদনগর (কুমিল্লা) সংবাদদাতা
- ২২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০৫
আসন্ন দ্বাদশ জতীয় সংসদ নির্বাচনী মাঠে কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনে অনেকটা নির্ভার ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইউছুফ আব্দুল্লাহ হারুন। পরপর দু’টি নির্বাাচনে এ আসন থেকে জয়লাভ করে এমপি হন তিনি। এবারো নৌকার মনোনয়ন পেয়ে সবার আগে তৎপরতা শুরু করেন তিনি।
এ আসনে নৌকার একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। শেষ পর্যন্ত ইউছুফ আব্দুল্লাহর সাথে স্বতন্ত্রপ্রার্থিতায় টিকে যান কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকার। মনোনয়নপত্রের সাথে এক শতাংশ ভোটারের সমর্থনের স্বাক্ষরযুক্ত তালিকায় গরমিলের অভিযোগে তার মনোনয়নপত্র বাতিল হলে ইউছুফ আব্দুল্লাহ হারুন ও তার অনুসারীরা অনেকটা নির্ভার হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু গত মঙ্গলবার আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের মাধ্যমে জাহাঙ্গীর আলম সরকার প্রার্থিতা ফিরে পেলে নির্বাচনের আমেজ বদলে যায়। এখন সহজেই ইউছুফ আব্দুল্লাহ নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন সাধারণ ভোটার ও দলীয় কর্মীরা।
সাধারণ ভোটাররা জানান, জাহাঙ্গীর আলম প্রার্থিতা ফিরে পেয়ে মাঠে নামায় তাকে নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা কল্পনা। চাপে পড়েছেন নৌকার প্রার্থী দুইবারের সংসদ সদস্য ইউছুফ আব্দুল্লাহ হারুন। জাহাঙ্গীর আলম ও তার পরিবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীও সাধারণ মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে মন জয় করায় জাহাঙ্গীর আলম রয়েছেন শক্ত অবস্থানে।
চাপিতলা গ্রামের বাসিন্দা ফয়সাল বলেন, এখন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ লড়াই হবে। জাহাঙ্গীর আলমকে নিয়ে মানুষ নতুন করে ভাবছে। এক সময়ের এমপি ইউছুফ আব্দুল্লার অনুসারীদের এখন জাহাঙ্গীর আলমের সাথে দেখা যাচ্ছে। এ আসনটিতে ইউছুফ আব্দুল্লাহ ও জাহাঙ্গীর আলম ছাড়াও মোট ১১ জন প্রার্থী রয়েছেন।
নির্বাচনে লড়াই প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর আলম সরকার বলেন, আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছিল, তা ফিরে পেয়েছি। সাধারণ মানুষের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস দেখছি, তা আমার নির্বাচনের জন্য নিয়ামক। লড়াইয়ে সাধারণ মানুষই আমার শক্তি। কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ২৭ বছর সাধারণ সম্পাদক ছিলাম এবং দলের জন্য অনেক কাজ করেছি। তাই আওয়ামী লীগের নেতারাও আমার সাথে রয়েছেন। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিপুল ভোটে আমি জয়লাভ করব ইনশা আল্লাহ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা