২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৪ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৭ শাবান ১৪৪৬
`

দেবীগঞ্জে করতোয়ার বুকে ফসলের মাঠ

ভরাট হয়ে যাওয়া করতোয়া নদীতে চলছে চাষাবাদ : নয়া দিগন্ত -


ভারত থেকে বয়ে যাওয়া করতোয়া নদীর চর এখন কৃষকের ফসলের মাঠ। দেবীগঞ্জ উপজেলা একটি বড় নদী হলো করতোয়া নদী। এই নদীতে এখন আর আগের মতো পানি থাকে না। শুকনো মৌসুমে এই নদীর চরে এখন নানান ধরনের ফসল চাষ হয়। বিশেষ করে পেঁয়াজ ও পেঁয়াজের চারা চাষ করে কৃষকরা। পানি কমে যাওয়ার কারণে নদীর দু’পাশে বালুচর হয়ে গেছে। সেই বালুচর মাহিন্দ্র দিয়ে সমান করে পেঁয়াজ, আলু, গম, সরিষা, ভুট্টা চাষ করছে কৃষকরা। আবার নদীর পাশে অল্প পানিতে বালু সমান করে চাষ করছে ধান।
জহির নামের এক কৃষক বলেন, এই নদীর চরে চাষ করতে অনেক শ্রম দিতে হয়। সকাল-বিকেল পানির সেচ দিতে হয়। খরচ বেশি লাগে। তার পরেও আলহামদুলিল্লাহ মোটামুটি ভালো লাভ হয়। তাই প্রতি বছরই এ নদীর চরে চাষাবাদ করে থাকি। তিনি বলেন, এ বছর প্রায় ৪ কেজি পেঁয়াজের বীজ রোপণ করে পুলি বিক্রি করছি প্রায় দেড় লাখ টাকার মতো। দাম কমে যাওয়াতে বেশি লাভ হবে না এ বছর।

বেলাল নামের এক কৃষক বলেন, প্রতি বছর নদীতে ধান চাষ করে আমাদের খাওয়ার জন্য আর ধান কিনতে হয় না। প্রতি বছর ২০ থেকে ৩০ মণ ধান চাষ করি।
করতোয়া নদীর বুকে জেগে উঠা ধুধু বালুর চরে কৃষকের এই সেচ নির্ভর চাষাবাদে ফসল উৎপাদন খরচ বেড়েছে কয়েক গুণ। দেবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার নাঈম মোর্শেদ বলেন, গত বছর আবাদ হয়েছিল এক হাজার ৩৯ হেক্টর। এই অর্থবছরে পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে এক হাজার ৫০ হেক্টর। যা গত বছরের তুলনায় ১১ হেক্টর বেশি। চলতি অর্থবছরে উপজেলায় ১০০ জন কৃষকের মাঝে প্রণোদনার আওতায় পেঁয়াজ দেয়া হয়। মাঠপর্যায়ে পেঁয়াজচাষিদের বিভিন্ন রোগ ও পোকামাকড় দমন সম্পর্কে পরামর্শ চলমান রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হবে বলে আশা করা যায়।


আরো সংবাদ



premium cement