দশমিনায় নিষিদ্ধ জালে ধ্বংস হচ্ছে মাছের পোনা
- সঞ্জয় ব্যানার্জি দশমিনা (পটুয়াখালী)
- ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
পটুয়াখালীর তেঁতুলিয়া-বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে ইলিশের পোনা নির্বিচারে মারা পড়ছে। কিন্তু অসাধু জেলেরা নিষিদ্ধ জাল দিয়ে নির্বিচারে ইলিশের পোনা নিধন করছে। ইলিশের পোনাসহ বিভিন্ন প্রজাতের মাছের পোনা নিধন ও হাট বাজারে এমন কি পাড়া মহল্লায় প্রকাশ্যে বিক্রি করছে অসাধু জেলেরা। বাজারে এ পোনাগুলো চাপিলা মাছ বলে বিক্রি করছে তারা। এভাবে ইলিশের পোনা নিধন হতে থাকলে আগামী মৌসুমে নদীতে ইলিশ মাছের চরম সঙ্কট দেখা দেবে।
সরেজমিন দেখা যায়, দশমিনা উপজেলার তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর এলাকাজুড়ে বাধা ও বেহুন্দী নামে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে জেলেরা মাছের পোনা শিকার করছে। এসব ফাঁসের জাল দিয়ে জেলেরা অবাধে ইলিশ, পোয়া ও চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতের পোনা মাছ ধরছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাঁশবাড়িয়া ও কাটাখালী গ্রামের একাধিক জেলে অভিযোগ করে বলেন, জাটকা বিক্রি ও ধরা নিষিদ্ধ থাকলেও মৎস্য বিভাগের নজরদারি না থাকা এবং মৎস্য অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যোগসাজসে ইলিশের পোনাসহ নানা জাতের মাছের পোনা নিধন ও বাজার জাত করছে। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জের হাটবাজারে নিয়েও তারা বিক্রি করছে জাটকা নামে ইলিশের এ পোনা। যদিও জেলেরা এ পোনাকে চাপিলা নামে বিক্রি করছে। এ জাটকা পরবর্তীতে শুঁটকি বানিয়েও বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিদিন কী পরিমাণ পোনা মাছ নিধন হচ্ছে তা নিজের চোখে না দেখলে কল্পনা করা কঠিন। প্রশাসন যদি নজরদারি না করে তাহলে আগামীতে ইলিশ মাছ রক্ষা করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।
বাঁশবাড়িয়া লঞ্চঘাট বাজারের মাছের আড়তদার মিরাজ খান বলেন, অসাধু কিছু জেলে তেঁতুলিয়া-বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে চাপিলা নামে পরিচিত ইলিশের পোনা নিধন করছে। নামমাত্র অভিযান পরিচালনা করে কর্তব্য শেষ করছে মৎস্য বিভাগ। যে কারণে প্রজননকালীন ইলিশ রক্ষায় সরকারের নেয়া উদ্যোগ ভেস্তে যেতে চলছে।
ইলিশের পোনা বিক্রির বিষয়ে দশমিনা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মাহাবুব আলম তালুকদার বলেন, এ উপজেলায় কিছু অসাধু জেলে অবৈধ জাল দিয়ে ছোট মাছগুলো ধ্বংস করছে। নদীতে নৌপুলিশ ও মৎস্য বিভাগের যৌথ অভিযান চলমান রয়েছে। আর গত কয়েক দিনে অবৈধ ১৪টি বেহেন্দী জাল পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা