ওমান থেকে ১৫ বছর পর দেশে ফিরেই লাশ হলেন মহিউদ্দিন
- এম মাঈন উদ্দিন মিরসরাই (চট্টগ্রাম)
- ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বোনের বাড়ির বিরোধ মেটাতে গিয়ে ভগ্নিপতির হাতে মো: মহিউদ্দিন (৪০) নামে এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। গত শুক্রবার রাত ১০টায় উপজেলার কাটাছড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বামনসুন্দর নোয়াপাড়া এলাকায় গরু ব্যাপারিদের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মহিউদ্দিন উপজেলার ইছাখালী ইউনিয়নের মাদবারহাটের নন্দী গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের বোন সেলিনা আক্তার বাদি হয়ে তার স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়িসহ চারজনের বিরুদ্ধে জোরারগঞ্জ থানায় একটি হত্যামামলা দায়ের করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চার বছর আগে উপজেলার কাটাছড়া ইউনিয়নের বামন সুন্দর বাজারের নওয়াপাড়া এলাকার মিসির আহমেদের ছেলে শরীফের সাথে বিয়ে হয় নিহত মহিউদ্দিনের ছোট বোন সেলিনা আক্তারের। বিয়ের পর থেকেই শরীফ তার স্ত্রী সেলিনাকে বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে চাপ দিত।
মহিউদ্দিনের বোন সেলিনা বলেন, শুক্রবার সারাদিন বাবার বাড়ি থেকে জমি বিক্রি করে টাকা এনে দেয়ার জন্য আমাকে মারধর করার খবর শুনে আমার ভাই আলোচনার জন্য স্বামীর বাড়িতে আসেন। এ সময় আমার স্বামী শরীফ, শ্বশুর-শাশুড়ি এবং তাদের আত্মীয়স্বজনরা মিলে আমার ভাইকে কিল ঘুষির একপর্যায়ে মাটিতে পড়ে যান মহিউদ্দিন। এ সময় ভাইকে বাঁচাতে এলে আমার একটি পা ভেঙে দেয় স্বামীর পরিবারের লোকজন। ভাইকে উদ্ধার করে রাত ১১টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আমি আমার ভাই হত্যার বিচার চাই।
এ বিষয়ে মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা: ফাহিম বলেন, মহিউদ্দিন নামে একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। জোরারগঞ্জ থানার ওসি সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম বলেন, পারিবারিক বিবাদ মিটাতে বোনের বাড়িতে গিয়ে বোনের স্বামী ও তার পরিবারের লোকজনের হাতে মারধরের শিকার প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে দাফন করা হয়। অভিযুক্তদের আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা