২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৩ শাবান ১৪৪৬
`
কাশিয়ানীর নিজামকান্দি ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল

১৫ মাসের নির্মাণকাজ ৭ বছরেও শেষ হয়নি

কাশিয়ানির উপজেলার নিজামকান্দি হাসপাতালের নিমার্ণাধীন ভবন : নয়া দিগন্ত -

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার নিজামকান্দি ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের নির্মাণকাজ সাত বছরেও শেষ হয়নি। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। যা ১৫ মাসের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ৩৫-৪০ শতাংশ কাজ করে প্রকৌশলীদের সহযোগিতায় ৫০ শতাংশ বিল তুলে নিয়েছেন ঠিকাদার। অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে নেমে প্রাথমিক সত্যতাও পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
জানা গেছে, উপজেলার নিজামকান্দি ইউনিয়নের ফলসি এলাকায় ২.১২ একর জমির ওপর ১৬ কোটি ১৯ লাখ টাকা ব্যয়ে হাসপাতাল নির্মাণ কাজের কার্যাদেশ দেয় স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর। রাজধানীর কেটি ও এমসি নামের যৌথ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কার্যাদেশ পায়। যা শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে। এরপর ২০২১ সালে একবার, ২০২২ সালে দুইবার এবং ২০২৩ সালে একবারসহ মোট চার দফা মেয়াদ বাড়ানো হয়। বাড়তি মেয়াদে ২০২৩ সালের মে মাসে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। সে সময়েও কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদার। দুই বছর ধরে বন্ধ রয়েছে কাজ।
দুদকের গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মশিউর রহমান বলেন, আমাদের প্রাথমিক তদন্তে প্রতীয়মান হয়েছে হাসপাতালটিতে যে পরিমাণ টাকা ঠিকাদারকে বিল দেয়া হয়েছে- সে পরিমাণ কাজ হয়নি। এর পেছনে প্রকৌশলীদের অদক্ষতার পাশাপাশি জমি অধিগ্রহণ না করে কার্যাদেশ দেয়াসহ নানা দুর্নীতির সত্যতা পাওয়া গেছে।

গোপালগঞ্জ স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী কে এম হাসানুজ্জামান বলেন, ৫০ শতাংশ কাজ শেষ হওয়ার পরে ঠিকাদারের কাজের গাফিলতি দেখা যায়। কারণ দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় ঠিকাদার ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ঠিকাদার কাজটি করতে বিলম্বিত করে। ঠিকাদার যখন কাজটি শুরু করেনি সর্বশেষ ২০২২ সালের ২১ নভেম্বর ওই ঠিকাদারের কার্যাদেশ বাতিলের জন্য সুপারিশ করি। তবে কাজের ৫০ শতাংশ অগ্রগতি হওয়ায় সেই কাজের বিল ঠিকাদারকে পরিশোধ করে দেয়া হয়েছে। চলমান কাজটি চতুর্থ সেক্টর প্রোগ্রামের আওতাধীন ছিল। সেটি শেষ হয়ে যায় ২০২৪ সালের জুন মাসে। পঞ্চম সেক্টর প্রোগ্রামে বাকি কাজটি অন্তর্ভুক্ত করে শেষ করার জন্য সুপারিশ প্রদান করা হয়েছে। ঠিকাদারের কাজটি বাতিল হলে চুক্তি অনুযায়ী ঠিকাদারের জামানত বাজেয়াপ্ত ও ব্ল্যাকলিস্ট করা হতে পারে। ঠিকাদারকে তার শেষ করা কাজের বিল পরিশোধের জন্য আমরা সুপারিশ করেছি। তার পাওনা অংশটুকু তাকে দিয়ে ক্লোজ করে দেয়া হয়েছে কারণ চতুর্থ সেক্টর প্রোগ্রাম শেষ হয়ে যাবে।’
অতিরিক্ত বিল দেয়ার বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ‘পরিমাপের মাধ্যমে যে কাজগুলো করা হয়েছে, তার বিল পরিশোধ করা হয়েছে। ঠিকাদারকে বাড়তি কোনো বিল পরিশোধ করা হয়নি। এখন পর্যন্ত ওই ঠিকাদারের কার্যাদেশ বাতিল করা হয়নি। তার মানে ওই কাজের ঠিকাদার হিসেবে তিনি এখনো বহাল রয়েছেন।’

 

 


আরো সংবাদ



premium cement
নোয়াখালীতে পুকুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মাদরাসা ছাত্রের মৃত্যু মেহেরপুরে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৫১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন বিইউপি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত কিছু নষ্ট-ভ্রষ্টরা আমার ক্ষতি করতে উঠেপড়ে লেগেছে : শিরীন নোয়াখালীতে ব্যবসায়ীকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রির ওপর রাখার সিদ্ধান্ত মন্ত্রিপরিষদের সাদুল্লাপুরে বজ্রপাতে শ্রমিকের মৃত্যু দেশে আর কোনো অরাজকতা সৃষ্টি করতে দেয়া হবে না : হাবিব উন নবী এফডিসির এমডিকে অপসারণে আলটিমেটাম রিজওয়ান-শাকিলকে হারিয়ে বিপদে পাকিস্তান  দামুড়হুদায় গর্তে ডুবে ৯ মাসের শিশুর মৃত্যু

সকল