৩৮ কোটি টাকার ভবন হলেও চিকিৎসা মেঝে ও বারান্দায়
- এম এ রহিম চৌগাছা (যশোর)
- ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
যশোরের চৌগাছায় সরকারি মডেল হাসপাতালের ৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভবন রোগীদের কোনো কাজে আসছে না। নতুন ভবনের প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র ও প্রশাসনিক অনুমোদন না পাওয়ায় এখনো ১০০ শয্যা হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু করা যায়নি। এতে রোগীদের চিকিৎসা নিতে হচ্ছে পুরনো ভবনের বারান্দা ও ওয়ার্ডের মেঝেতে শুয়ে।
প্রায় ১৫ মাস আগে কোটি কোটি টাকা খরচ করে নতুন ভবন করার পরও রোগীদের জরাজীর্ণ ভবনের বারান্দা ও ওয়ার্ডের মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। অন্য দিকে হাসপাতালে নেই পর্যাপ্ত চিকিৎসক। এতে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা; যে কারণে এখানে চিকিৎসাসেবা প্রার্থীরা ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
যশোর স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, তিনটি গুচ্ছে প্রায় ৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এ হাসপাতালের অবকাঠামো নির্মিত হয়েছে। এর মধ্যে ছয়তলাবিশিষ্ট হাসপাতালের মূল ভবন ২১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মকর্তাদের পাঁচটি আবাসিক ভবন ১৪ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া এ ভবনে অক্সিজেন প্লান্টসহ সরবরাহ লাইন স্থাপনে ব্যয় হয়েছে দুই কোটি ৩২ লাখ টাকা।
হাসপাতালে দেখা গেছে, শিশু ওয়ার্ডের বারান্দায় কয়েকটি শয্যা ফেলে রোগী রাখা হয়েছে। কয়েকজন রোগীকে বারান্দায় কম্বল পেতে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। পুরুষ ওয়ার্ডের ভেতরে কম্বল পেতে ও বারান্দায় কয়েকটি শয্যায় চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা। মহিলা ওয়ার্ডের বারান্দায় ও ভেতরেও রোগীর ভিড় রয়েছে। ৫০ শয্যায় রোগী ভর্তি রয়েছেন ৮৫ জন। এর মধ্যে বেড ছাড়াই রয়েছেন শিশু ১৪ জন, পুরুষ ৯ জন ও মহিলা ১২ জন।
শিশু ওয়ার্ডে ডায়রিয়া আক্রান্ত দুই বছর বয়সী নুসরাত জাহান তিন দিন ধরে ভর্তি রয়েছেন। মা রুমা খাতুন মেয়েকে কোলে নিয়ে পায়চারী করেছেন। এ সময় রুমা খাতুন বলেন, বারান্দা দিয়ে রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা মানুষ চলাচল করেন তাই মেয়েকে নিয়ে বারান্দায় থাকা খুবই কষ্টকর। এখানে একটি শিশু ডায়রিয়া ওয়ার্ড থাকলে ভালো হতো।
চৌগাছা সরকারি মডেল হাসপাতালের টিএইচ এফপিও ডা: আহসানুল মিজান রুমি বলেন, ভবন নির্মাণ শেষ হলেও নতুন ভবনের প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র ও প্রশাসনিক অনুমোদন না পাওয়ায় ১০০ শয্যার কার্যক্রম শুরু করা যায়নি। আমরা প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র ও প্রশাসনিক অনুমোদন চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সম্প্রতি আবারো আবেদন করেছি।
যশোর সিভিল সার্জন ডা: মাছুদ রানা বলেন, চিঠি পাঠনোর পরই তো দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হলো। ২০২৫ সালের জানুয়ারির শেষের দিকে নতুন করে আবারো আবেদন করেছি আমরা।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (পরিকল্পনা ও গবেষণা) আফরিনা মাহমুদ বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১০০ শয্যার প্রশাসনিক অনুমোদনের জন্য পাঠানো চিঠি আমরা পেয়েছি। জুলাইয়ে গণ-অভ্যুত্থানসহ বিভিন্ন কারণে অনুমোদনের উদ্যোগ নেয়া সম্ভব হয়নি। নতুন করে লাইন ডিরেক্টরের মাধ্যমে বিষয়টি অনুমোদনের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সচিবের কাছে এ চিঠি পাঠানো হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা