১৪ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজের টেন্ডার হচ্ছে না
বরাদ্দ ফেরত দেয়ায় ক্ষোভ বিরাজ করছে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগে- কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) সংবাদদাতা
- ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় স্থানীয় প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) কর্মকর্তাদের দায়িত্বহীনতায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় উন্নয়ন প্রকল্পের কয়েক কোটি টাকার কাজ না করে ফেরৎ দেয়া হচ্ছে। ফলে চাহিদা দিয়ে বরাদ্দ পাওয়ার পর কাজ না করে ফেরৎ দেয়ায় ক্ষোভ বিরাজ করছে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগে। উপজেলা শিক্ষা অফিসার জানান, কাজগুলো বাস্তবায়নের জন্য তিনি ঝগড়া-তর্ক করেছেন।
জানা যায়, চাহিদা ভিত্তিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় উন্নয়ন প্রকল্প (প্রথম পর্যায়ে) ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সারা দেশে ৪৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের জন্য অনুমোদিত হয়। এরমধ্যে কুলাউড়া উপজেলায় ১৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেয়া হয়। বিদ্যালয়গুলো হলো জয়পাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বুধপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আলমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সদপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সৈয়দা আজিজুন্নেছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাসিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, টাট্রিউলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাদিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কৌলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্বরাউৎগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মনসুরগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাতাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিএইচ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খুমিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ১৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ভাতাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গাসংক্রান্ত জটিলতা দেখিয়ে বরাদ্দ বাতিলের জন্য আগেই চিঠি দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া আলমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বিএনপির নেতার চাপে টেন্ডার করা হয়েছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, একেকটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে ৯১ লক্ষাধিক টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কুলাউড়ার ঠিকাদাররা অপেক্ষায় থাকে কাজ করার জন্য। অথচ সরকারের বরাদ্দকৃত কোটি কোটি টাকার কাজ না করিয়ে ফেরৎ দেয়া হচ্ছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের দায়িত্বহীনতায় কুলাউড়ায় এমন দৃষ্টান্ত এই প্রথম।
ভবন নির্মাণের জন্য অনুমোদিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, আমরা শ্রেণিকক্ষের অভাবে পাঠদান করতে পারছি না। অথচ সরকারের টাকা কাজ না করে ফেরৎ যাচ্ছে এটা দুঃখজনক। অবিলম্বে এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা। শুধু ভবন নয়, ভবন নির্মাণের পাশাপাশি ওয়াশ ব্লক নির্মাণ এবং ডিপ-টিউবয়েল স্থাপনেরও প্রস্তাবনা ছিল।
এ ব্যাপারে কুলাউড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ইফতেখার আহমদ ভূঁইয়া জানান, আমি সরকারের এই বরাদ্দ বাস্তবায়নের জন্য উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে ঝগড়া করেছি। শুধু এই বরাদ্দ নয় এর আগেরও অনেক বরাদ্দ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের দায়িত্বহীনতায় ফেরৎ যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে কুলাউড়া উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো: তারেক বিন ইসলাম জানান, আমার অফিসে লোকবল সঙ্কট এবং সময়ও কম। পিডি স্যার যদি টাকার দায়িত্ব নেন তাহলে টেন্ডার করতে পারি। তবে ৩০ জুনের মধ্যে কাজ বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা