চৌগাছায় মিষ্টি পান চাষে চাঙ্গা গ্রামীণ অর্থনীতি
- এম এ রহিম চৌগাছা (যশোর)
- ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
যশোরের চৌগাছা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে আবাদি উঁচু জমি, বাড়ির আঙিনাসহ বিভিন্ন গাছে কিংবা আশপাশের পতিত জায়গায় পান চাষে কৃষক-কৃষাণিদের আগ্রহ দিন দিন বেড়েই চলেছে। এতে একদিকে যেমন চাঙ্গা হচ্ছে গ্রামীণ অর্থনীতি, অন্য দিকে স্বাবলম্বী হচ্ছেন উপজেলার পাঁচ শতাধিক প্রান্তিক কৃষক পরিবার। বর্তমানে বাজারে পানের দাম ও চাহিদা বেশি। তাই অন্য ফসলের তুলনায় পান চাষ অধিক লাভজনক হওয়ায় অনেকেই পান চাষে ঝুঁঁকছেন।
জানা যায়, উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় ছোট-বড় পাঁচ শতাধিক পানের বরজ রয়েছে। এসব এলাকার উৎপাদিত পান উপজেলার অধিবাসীদের চাহিদা মিটিয়েও সরবরাহ করা হচ্ছে রাজধানী ঢাকা, খুলনা, ফরিদপুর, ঝিনাইদহ, দিনাজপুর ও রংপুরসহ বিভিন্ন জেলায়।
এ উপজেলায় পানপল্লী হিসেবে পরিচিত ধুলিয়ানী ইউনিয়নের রামভাদ্রপুর, ফতেপুর, আজমতপুর, শাহাজাদপুর ও ধুলীয়ানী গ্রাম। এ ছাড়া উপজেলার দেবালয় সুখপুকুরিয়া এলাকার পাঁচ শতাধিক কৃষক পরিবার শুধুমাত্র পান চাষ করে স্বাবলম্বী হয়ে ওঠছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানা যায়, চলতি বছর উপজেলায় প্রায় ১০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি পানের চাষ হয়েছে। প্রতি একর জমিতে উৎপাদন ব্যয় গড়ে ৫-৬ লাখ টাকা। আর আয় হয় ১০-১১ লাখ টাকা।
দেবালয় গ্রামের পানচাষি শহিদুল ইসলাম, খড়িঞ্চা গ্রামের রফিকুল ইসলামসহ অনেকে জানান, পান চাষ তুলনামূলক লাভের দিকটাই বেশি। চাষের এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে বরজের পান বিক্রির উপযোগী হয়ে ওঠে। বর্ষা মৌসুমে পানের উৎপাদন একটু বেশি হয়। শুধুমাত্র নিজেদের অবসর সময়টা কাজে লাগিয়ে পানের বরজের পরিচর্যা করা যায়। এতে এক বিঘা বরজ থেকে প্রতি মাসে ৪০-৫০ হাজার টাকা বাড়তি আয় হয়।
উজিরপুর গ্রামের কামাল হোসেন জানান, পান চাষে পাল্টে দিয়েছে তার অভাবের সংসার। পানের বরজের আয় দিয়েই ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া করানোর পাশাপাশি একখণ্ড ফসলি জমি আর নিজে একটি বাড়ি তৈরি করে শৌখিন আসবাবপত্র দিয়ে সাজিয়েছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুসাব্বির হোসাইন বলেন, পান তুলনামূলক লাভজনক চাষ। বছরের ১২ মাসই এ বরজ থেকে আয় হয়। এ কারণে চৌগাছায় পান চাষে আগ্রহ বাড়ছে সবার। চলতি মৌসুমে উৎপাদিত পান থেকে চাষিদের আয় বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা