রাজারহাটে স্কুলছাত্রীকে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা
- রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) সংবাদদাতা
- ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
রাজারহাটে স্কুল শিক্ষার্থীকে ছয় ঘণ্টা গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় ভূক্তভোগীর বাবা বাদি হয়ে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। মামলার এক আসামিকে গ্রেফতার করেছেন পুলিশ।
জানা যায়, উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের কিশামত নাখেন্দা গ্রামের মোস্তফা মিয়ার মেয়ে ও নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মোহনা আক্তারের ছোট বোন আশামনি বেশ কিছুদিন ধরে হৃদরোগে ভুগছিল। মোহনার দাদী তার নাতনীর চিকিৎসার জন্য তার বাবাকে একটি গরু দেন। এ নিয়ে মোহনার দূর সম্পর্কের এক দাদু আব্দুল কাদের মোহনার বাবাকে চোর সাব্যস্ত করে চৌকিদার পাঠিয়ে হুমকি দেন। গত মঙ্গলবার মোহনা তার বাবাকে দেয়া চোর অপবাদের প্রতিবাদ করলে আব্দুল কাদেরের উঠানেই মোহানাকে শারীরিক নির্যাতন করেন।
এ ছাড়া মেয়েটিকে প্রায় ৬ ঘণ্টা গাছের সাথে রশি দিয়ে বেঁধে রাখেন। খবর পেয়ে ওই দিন বেলা ৩টার দিকে রাজারহাট থানাপুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রশি খুলে দিয়ে মোহনাকে পুলিশের গাড়িতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরে রাতে মোহনার বাবা মোস্তফা মিয়া বাদি হয়ে আব্দুল কাদেরসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরমধ্যে মঙ্গলবার রাতেই মামলার ২ নম্বর আসামি মায়া বেগমকে পুলিশ গ্রেফতার করে বুধবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
তবে মামলায় নির্যাতনের নির্দেশদাতা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুসকে আসামি করা হয়নি।
নামে অভিযোগ করলেও মামলার বাদি ওই চেয়ারম্যানকে কে আসামি করেননি।
মোহনা বলেন, একই গ্রামের আব্দুল কাদের গত মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে আমাকে রশি দিয়ে গাছের সাথে বেঁধে রেখে গলায় ওড়না পেচিয়ে শ্বাস রোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। এ ছাড়া আমাকে মারপিট করে হাঁটু, গলা ও পিঠে জখম করে।
মামলার আগে স্থানীয় ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস প্রামাণিক বলেন, ‘পিঠের চামড়া ছিঁড়ে দেয়া লাগত, মেয়েটি খুব বেয়াদব’।
রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ তছলিম উদ্দিন বলেন, মেয়েটির বাবা মোস্তফা মিয়া বাদি হয়ে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে রাজারহাট থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ রাতেই মামলার ২ নম্বর আসামি মায়া বেগমকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায় ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা