দহগ্রামে তিস্তার ভাঙন রোধের কাজ ৬ বছরেও শেষ হয়নি
- পাটগ্রাম (লালমনিরহাট ) সংবাদদাতা
- ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:০০
লালমনিরহাটের পাটগ্রামের দহগ্রাম ইউনিয়নে ৫৮০ মিটার দৈর্ঘ্য তিস্তা নদীর বাঁধ দীর্ঘ ছয় বছরেও শেষ করতে পারেনি লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ড। এটা তাদের ব্যর্থতা না দীর্ঘসূত্রতা তা নিশ্চিত করতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে ভারত থেকে নেমে আসা উজানী ঢলে তিস্তা নদীর অব্যহত ভাঙ্গনে দহগ্রাম ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এতে ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে আসছে দহগ্রাম ইউনিয়ন। ভাঙন রোধ কল্পে লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ড একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। প্রকল্পের আওতায় দহগ্রামের সর্দার পাড়ায় ৫৮০ মিটার দৈর্ঘ্য এলাকায় তিস্তার ডান তীরে এক লাখ ৬৭ হাজার সিসি ব্লক নির্মাণ করে নদীতে ডাম্পিং ও পিসিং করার কথা। লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষে খুলনার শিপ ইয়ার্ডকে ২০১৯ সালে কার্যাদেশ প্রদান করে। ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৯ কোটি টাকা। কার্যাদেশ পেয়ে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যথারীতি নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শুরু করলেও দীর্ঘ ৬ বছরেও তা শেষ করতে পারেনি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এই দীর্ঘসূত্রতার কারণে বর্ষা মৌসুমে সাধারণ মানুষের আবাদি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙনের কবলে পড়ে নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
সরেজমিন দেখা গেছে ৯ কোটি টাকার ওই প্রকল্পের কাছেই তিস্তা নদী, তার পাশেই চলছে নির্মাণকাজ। প্রকল্পে যে বালু ব্যবহার করা হচ্ছে সেই বালুও পাশের নদীর এবং স্থানীয় পাথর তারপরও প্রকল্পের ধীরগতিতে ভাবিয়ে তুলছে স্থানীয়দের।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় (এসডি) প্রকৌশলী রিয়াদুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না জানিয়ে বলেন, আমরা ভাঙন রোধে সাময়িক সময়ের জন্য কিছু ব্লক নদীতে ফেলেছি। তবে এসব ব্লক পরে তুলে এনে নির্দিষ্ট স্থানে পিসিং এবং ডাম্পিং করা হবে। দীর্ঘসূত্রতার বিষয়ে তিনি নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা বলতে বলেন।
নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমারের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, খুলনা শিপ ইয়ার্ডের কাজ দেশব্যাপী চলছে। ওই প্রকল্পটি ভারতের বর্ডার এর কাছে, তবে বাস্তবায়ন (রসঢ়ষবসবহঃধঃরড়হ) করা হচ্ছে, এই অর্থ বছরে শেষ হয়ে যাবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা