কুমারখালীতে পরকীয়ার জেরে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা
- কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
- ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে স্বামীর বিরুদ্ধে সাথি খাতুন (২২) নামের এক গৃহবধূকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ও ব্লেড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থান কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার সদকী ইউনিয়নের করাতকান্দি গ্রামের স্বামীর বাড়ি থেকে পুলিশ গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে। সাথী খাতুন ওই গ্রামের ইটভাটা শ্রমিক মো: সীমান্তের (৩০) স্ত্রী ও একই ইউনিয়নের মালিয়াট গ্রামের মনছুর শেখের মেয়ে।
পুলিশ ও স্বজনরা জানান, প্রায় আট বছর আগে করাতকান্দি গ্রামের মতিয়ার শেখের ছেলে সীমান্তের সাথে সাথির পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। এই দম্পতির নাহিদ নামের ছয় বছর বয়সী ও আফসানা নামের চার মাস বয়সী দু’টি সন্তান রয়েছে। প্রায় এক বছর আগে সীমান্ত তার খালাতো বোনের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। পারিবারিকভাবে একাধিকবার সালিশি বৈঠক হলেও কোনো সমাধান হয়নি।
স্বজনরা আরো জানান, সাতদিন আগে সীমান্তকে ৯০ হাজার টাকা দেন তার শ্বশুর। এরপরও রোববার পরকীয়া প্রেমিকাকে নিয়ে দিনভর ঘোরাফেরা করেন সীমান্ত। রাতে সাথি স্বামীর কাছে প্রেমিকাকে নিয়ে ঘুরাঘুরির বিষয়টি জানতে চাইলে সীমান্ত লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ও ব্লেড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থান কেটে হত্যা করে সাথিকে। পরে সাথির গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়ে পালিয়ে যায়।
গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, থানা চত্বরে ভ্যানে রাখা হয়েছে সাথির লাশ। স্বজনরা আহাজারি করছেন। এ সময় সাথীর ছেলে নাহিদকে বলতে শোনা যায়, ‘মাকে আমার বাবা লাঠি দিয়ে মারেছে। ব্লেড দিয়ে হাত-পা কেটেছে।’
নিহত সাথির শরীরের একাধিক স্থানে আঘাতের ক্ষত রয়েছে বলে জানিয়েছেন কুমারখালী থানার উপ-পরিদর্শক বিপ্লব বিশ্বাস। তিনি জানান, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা