হাজীগঞ্জে মিষ্টি কুমড়ার দাম না পেয়ে কৃষকরা হতাশ
- হাজীগঞ্জ (চাঁদপুর) সংবাদদাতা
- ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:২৭
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন হয়েছে। উৎপাদনের তুলনায় চাহিদা কম থাকায় দাম না পেয়ে কৃষকরা এখন হতাশ হয়ে পড়েছেন।
চলতি বছর হাজীগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ৩০০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ হয়েছে। এসব মিষ্টি কুমড়া যাচ্ছে ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলার বাজারে। ছোট থেকে বড় সাইজের প্রতি পিস মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৩০ থেকে ৭০ টাকায়।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার অলিপুর, সাদ্রা, জাকনী, সমেশপুর গ্রামের মাঠজুড়ে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ। এ বছর বর্ষার পানি দেরিতে নামার কারণে জমিগুলো আবাদ একটু দেরিতে হয়েছে। তবে এখন প্রতিটি জমিতেই মিষ্টি কুমড়ার আবাদ হয়েছে।
উত্তর অলিপুর গ্রামের কৃষক সাইফুল আলম জানান, আমরা প্রতি বছর বর্ষার শেষ দিকে এসে কচুরিপানা স্তূপ করে রাখি। পানি কমলে ওই কচুরিপানার স্তূপে মাটি দিয়ে লাগানো হয় মিষ্টি কুমড়ার চারা। এ বছর আবাদের পরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। বর্তমানে ১০-১২ কেজি মিষ্টি কুমড়া মাত্র ৪০-৬০ টাকা ধরে বিক্রি করতে হচ্ছে।
দক্ষিণ বলাখাল গ্রামের কৃষক মহসিন ও জসিম উদ্দিন জানান, আমরা এ বছর ৬০ শতাংশ জমিতে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ করেছি। সপ্তাহে দুই দিন মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করতে পারছি। এক দিনের ওঠানো মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হয় কমপক্ষে ৫০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এসব মিষ্টি কুমড়া পাইকারি ক্রয় করে কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলার আড়তগুলোতে পাঠিয়ে থাকেন।
হাজীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলরুবা খানম বলেন, হাজীগঞ্জ উপজেলায় এ বছর মিষ্টি কুমড়ার আবাদ হয়েছে ২৯০ হেক্টর। বেশি আবাদ হয় পৌরসভার বলাখাল, সদর ইউনিয়নের অলিপুর, নদীর দক্ষিণ অঞ্চলের সাদ্রা, রামচন্দ্রপুর, সমেশপুর এলাকায়। আমাদের জনবল কম। তার পরও প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মকর্তারা কৃষকদেরকে পরামর্শ দিয়ে আসছেন।
তিনি আরো বলেন, মিষ্টি কুমড়ার জমিগুলোতে আমরা এখন কীটনাশক ব্যবহার না করার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি। জমিতে হলুদ কাগজের মধ্যে আঠা দিয়ে টানানো হয়। এর মধ্যে পোকা মাকড় বসে মারা যায়। এ পদ্ধতিতে আমরা সুফল পাচ্ছি। এই উপজেলার মিষ্টি কুমড়া স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি হয়ে আসছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা