পাটগ্রামে জাল সনদে ছাত্রলীগ কর্মীর চাকরি
- পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) সংবাদদাতা
- ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ধবলসতী উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে জাল সনদে চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ কর্মী আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল বাকির ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী আসাদুজ্জামান গত ২২ সালের ৭ জুলাই চাকরি নেন ধবলসতী উচ্চ বিদ্যালয়ে। গত বছরের ১ জানুয়ারি ওই বিদ্যালয়ে তার চাকরি এমপিওভুক্ত হয়। আসাদুজ্জামানের বাবা আব্দুল বাকি আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক এমপি মোতাহার হোসেনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হওয়ায় এবং সে নিজে ছাত্রলীগ কর্মী হওয়ায় কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে চাকরি বাগিয়ে নেন। এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার সহায়তায় মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে কম্পিউটার ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং (আবশ্যক) এর জাল সনদ ম্যানেজ করে এমপিওভুক্ত হন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আসাদুজ্জামান ২০০৫ সালে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি ও ২০০৮ সালে পাটগ্রাম বিজনেস ম্যানেজমেন্ট (বিএম) কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর তিনি ওই বিদ্যালয়ে তার চাকরি এমপিওভুক্ত করার জন্য ২০১৬ সালে কম্পিউটার বিষয়ে জাল ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং সনদ ব্যবহার করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আসাদুজ্জামানের কাছে কোন কলেজ থেকে তিনি ডিপ্লোমা সম্পূর্ণ করেছেন জানতে চাইলে বলতে পারেননি। এডমিট ও রেজিস্ট্রেশন দেখতে চাইলে বেশ কয়েক দিন সময় নিয়েও তিনি দেখাতে পারেননি।
জানা গেছে, আসাদুজ্জামানের নিয়োগ কমিটির সদস্য ছিলেন ৭ জন।
নিয়োগ বিষয়ে তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রবিউল ইসলামের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নিয়োগের সব কিছু করেছেন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার বসুনিয়া, আপনি তাকে জিজ্ঞাসা করেন। আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন।
মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অন্যত্র বদলি হয়ে যাওয়ায় এ বিষয়ে বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে ধবলসতী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তহিদুল ইসলাম তৌহিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, নিয়োগবিধি মেনে আসাদুজ্জামানকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নিয়োগের সময় তার সনদ অনলাইনে যাচাই করা হয়েছে। তবে বর্তমানে অনলাইনে কেন জানি তার সনদ শো করছে না। এর কারণ জানি না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা