০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪২৩১, ৬ শাবান ১৪৪৬
`

সম্পত্তির জন্য ভাতিজিকে টেঁটা দিয়ে হত্যার চেষ্টা

-

কুমিল্লা মুরাদনগরে সম্পত্তির জন্য আপন ভাতিজি হোসনা আক্তারকে (৩৫) টেঁটা বিদ্ধ করে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে চাচা মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় হোসনা আক্তারের বোনের মেয়ে আফসানা আক্তার লিজাও টেঁটাবিদ্ধ হন। হোসনা আক্তার মজিবুর রহমানের ভাই লিল মিয়ার মেয়ে। গত মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা সদর ইউনিয়নের হিরারকান্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গত মঙ্গলবার রাতেই হোসনা আক্তারের বোন আছম বেগম বাদি হয়ে মুরাদনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা হওয়ার পর দু’জনকে আটক করেছেন বলে নিশ্চিত করেন মুরাদনগর থানা ওসি জাহিদুর রহমান।
স্থানীয় ও পারিবার সূত্রে জানা যায়, গুরুতর আহত হোসনা আক্তারের বাবা লিল মিয়া গত চার বছর আগে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পূর্বে লিল মিয়া তার স্ত্রী জামেনা বেগমের নামে বাড়ির জায়গা দলিল করে দেন। লিল মিয়ার মৃত্যুর পর ভাই মুজিব মিয়া বাড়িটি দখল করার জন্য বিভিন্ন সময় জামেনা বেগমের উপর অত্যাচার নির্যাতন করে আসছেন।
ঘটনার দিন জামেনা বেগম নিজের বাড়ির জায়গায় লাকরি শুকাতে দিলে এটি তার জায়গা নয় বলে মজিবুর রহমান, তার স্ত্রী রহিমা বেগম, ছেলে আনিছুর রহমান, মেয়ে ডালিয়া আক্তার জামেনা বেগমকে বাধা দেন এবং গালমন্দ করেন। এতে জামেনা বেগম প্রতিবাদ করলে মজিবুর রহমান ও তার স্ত্রী সন্তানরা ক্ষিপ্ত হয়ে জামেনা বেগমকে মারধর করতে থাকেন। জামেনা বেগমের চিৎকার শোনে পাশের শ্বশুরবাড়ি থেকে জামেনা বেগমের মেয়ে হোসনা আক্তার ও নাতনী আফসানা আক্তার লিজা মাকে উদ্ধার করতে গেলে তাদেরকেও মারধর করেন।
এক পর্যায়ে মজিবুর রহমান মাছ মারার টেঁটা দিয়ে আফসানা আক্তার লিজাকে আক্রমণ করে। লিজাকে বাঁচাতে গিয়ে হোসনা আক্তারের হাতে টেঁটাবিদ্ধ হয়। টেঁটা হোসনা আক্তারের হাতের একপাশ দিয়ে ঢুকে অপর পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়। এ সময় আফসানা আক্তার লিজার হাতেও টেঁটা বদ্ধ হয়।
এলাকাবাসী টেঁটা বিদ্ধ অবস্থায় হোসনা আক্তারকে এবং আহত লিজা ও জামেনা বেগমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে আফসানা আক্তার লিজা ও জামেনা বেগমকে চিকিৎসা দেয়া হলেও হোসনা আক্তারের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দ্রুত কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।


আরো সংবাদ



premium cement