০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯ মাঘ ১৪৩১, ২ শাবান ১৪৪৬
`

কাটছে না সয়াবিন তেলের সঙ্কট সিলেটে বেশি দামে বিক্রি

কাটছে না সয়াবিন তেলের সঙ্কট সিলেটে বেশি দামে বিক্রি -

তেলের সঙ্কট কাটাতে গত ডিসেম্বর মাসের শুরুতে ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকার। দাম বাড়ানোর পর সঙ্কট কেটে যাবে বলে আশা করা হলেও বাস্তবে তা হয়নি। উল্টো তেলের বাজার দর আরো অস্থির হয়েছে। সিলেটের বিভিন্ন বাজার থেকে সয়াবিন তেল হঠাৎ উধাও হয়ে গেছে। বিশেষ করে এক ও দুই লিটারের বোতলের সরবরাহ নেই বললেই চলে।
সাধারণ ক্রেতাদের অভিযোগ, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বোতলজাত তেল কেটে ড্রামে ভরে খোলা তেলের দামে বিক্রি করছেন। এতে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দাম গুনতে হচ্ছে ক্রেতাকে। ভোক্তারা সঠিক সরবরাহ নিশ্চিত এবং তেলের বাজারে স্বচ্ছতা আনতে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপের দাবি করছেন।
নগরীর ভোজ্যতেলের খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, দেশের বৃহৎ ভোগ্যপণ্যের বাজার চাক্তাই খাতুনগঞ্জের আমদানিকারকরা সিন্ডিকেট করে ভোজ্যতেলের সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছেন। তারা চাহিদার অর্ধেকও সরবরাহ করছেন না। ফলে খুচরা বাজারে তেলের কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি হচ্ছে এবং বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। হু হু করে বাড়ছে ভোজ্যতেলের দাম। অলিগলিতে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ২০০ টাকায় এবং নগরীর বড় বাজারগুলোতে ১৮০-১৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বোতলজাত দুই লিটার ৩৮০ টাকা, তিন লিটার ৫৬০ টাকা এবং পাঁচ লিটার ৮৮০-৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে দোকানিরা বলছেন, ১০ হাজার টাকার তেল কিনলে সাথে ২০ হাজার টাকার চিনিগুড়া চাল, সরিষার তেল, আটা ও সুজি কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে যদিও বাজারে এসব পণ্যের চাহিদা খুব কম। দোকানিরা আরো বলছেন, কোম্পানি প্রতিনিধিদের বারবার বলেও চাহিদা অনুযায়ী তেল পাওয়া যাচ্ছে না। আবার কোন কোন কোম্পানি চাহিদার চেয়ে অতি অল্প পরিমাণ তেল দিলেও ‘ক্রেতা পর্যায়ে চাহিদা নেই’ এমন পণ্য গছিয়ে দিচ্ছেন। তাদের দাবি, বর্তমানে পাইকারি পর্যায়ে ব্যারেল প্রতি তেলের দাম কিছুটা কমেছে। তারপরও মিল থেকে তেলের সরবরাহ এখনো স্বাভাবিক করছে না কোনো কোম্পানিই।
বর্তমানে সিলেটের বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেল লিটার প্রতি ১৭৫ টাকা গায়ের মূল্য থাকলেও বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯৫ টাকায়। আর পাঁচ লিটারের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সয়াবিন তেল বিক্রয় মূল্য ৯০০ টাকা পর্যন্ত। প্রায় দুই মাস আগে সরকার লিটার প্রতি ৮ টাকা দাম বাড়ালেও সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সঙ্কট দূর করা সম্ভব হয়নি।

নগরীর রিকাবীবাজার এলাকার দোকানদার রশিদ আহমদ বলেন, গত দুই-তিন মাস ধরেই ডিলাররা চাহিদামাফিক তেল সরবরাহ করছেন না। অর্ডার দিয়েও তেল পাওয়া যাচ্ছে না। ক্রেতারা তেল চাইলেও দিতে পারছি না। এক দফা দাম বেড়েছে তারপরও সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। আসন্ন রমজানকে ঘিরে আরেক দফা দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করছে অসাধু সিন্ডিকেট চক্র।
সিলেট নগরীর কালিঘাটের ভোজ্যতেলের পাইকারি বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান আমিন ব্রাদার্সের স্বত্বাধিকারী আমিন উদ্দীন বলেন, কোম্পানিগুলো চাহিদা মতো তেল সরবরাহ করতে পারছে না। এতে আমরা খুচরা বিক্রেতাদের তোপের মুখে পড়ছি। এছাড়া সয়াবিন তেলের সাথে অগুরুত্বপূর্ণ পণ্য কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে। ফলে পাইকারী ব্যবসায়ীগণকে বাধ্য হয়ে কোম্পানিগুলোর অন্যায্য দাবি মেনে নিতে হচ্ছে। এর প্রভাব দামের ওপর পড়ছে। তবে আমরা নির্দিষ্ট মূল্যেই তেল বিক্রি করছি।
এ ব্যাপারে সিলেটের সিনিয়র কৃষি বিপণণ কর্মকর্তা আবুল সালেহ মোহাম্মদ হমায়ুন কবির বলেন, সয়াবিন তেল নিয়ে সঙ্কটের খবরটি আমরা পেয়েছি। এরই মধ্যে বিষয়টি আমরা জেলা প্রশাসক, ভোক্তা অধিকার ও কৃষি বিপণন অধিদফতরে জানিয়েছি। ব্যবসায়ীরাও জানিয়েছেন, কোম্পানিগুলো সয়াবিন তেলের সাথে অন্যান্য পণ্য কিনতে বাধ্য করছে। এর প্রভাব পুরো বাজারের ওপরেই পড়ছে। এরপরও গায়ের দাম থেকে তেলের দাম বেশি রাখার সুযোগ নেই। প্রমাণ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেবো।


আরো সংবাদ



premium cement
৮ মেগা প্রকল্পের ৭৫২ কোটি ডলার লোপাট! সাঈদীকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে নির্দেশনা দিয়েছিল ভারতের ‘র’! একুশের চেতনাই জুলাই বিপ্লবে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছে রাজউকের নিম্নবিত্ত আবাসনের ১০১১ একর ভূমির বেশির ভাগই বেদখলে স্বৈরাচারের মাথা পালালেও কিছু অবশিষ্ট রয়ে গেছে বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটকে নিষ্ক্রীয় করার চেষ্টা চাঁদাবাজি টেন্ডারবাজি দখলদারিত্বে জামায়াত কোথাও জড়িত নয় যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা বন্ধে বেশি ভুগবে ইউক্রেন ও ইসরাইল বাংলাদেশ কুড়িতম লিবিয়া উপকূলে ভেসে আসছে লাশ, ২০ বাংলাদেশী নিহত লাল ফিতার দৌরাত্ম্য কমাতে সংস্কারের পরামর্শ টাস্কফোর্সের ভাষা আন্দোলনের ঘোষণাপত্র প্রকাশ

সকল