সাতক্ষীরায় ইমামকে গাছে বেঁধে নির্যাতন
- সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
- ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:৫২
সাতক্ষীরায় জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সদর উপজেলার বিহারিনগর গ্রামের পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মো: রুহুল আমিনকে গাছের সাথে দড়ি দিয়ে বেঁধে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। গতকাল শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বিহারিনগর গ্রামের মৃত মোবারক সরদারের ছেলে ইমাম মো: রুহুল আমিন এই অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সদর উপজেলার বিহারিনগর গ্রামের পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের ইমামতি করার পাশাপাশি কৃষি খামার দেখাশোনা করেন। বিহারিনগর মৌজায় পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত ১৭ শতক জমিতে ধান চাষ করতেন। কিন্তু ২০২২ সালের মে মাসে একই গ্রামের মৃত মোফাজ্জেল সরদারের তিনি ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা মকফুর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান ও আতাউর রহমান জোরপূর্বক তাদের ওই জমি দখল করে নিয়ে সেখানে মাছ চাষ শুরু করেন। মাকফুর সম্পর্কে তার চাচাতো ভাই হয়। এ ঘটনায় তিনি সদর থানায় একটি অভিযোগ দিলেও তারা আওয়ামী লীগ নেতা ও প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। থানায় অভিযোগ দেয়ার পর থেকে তারা প্রতিনিয়ত আমাকে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছিল। বিষয়টি নিয়ে অনেকবার স্থানীয় সালিসের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও তারা কোনো কিছুই তোয়াক্কা না করে জমি জবরদখল করে রেখেছিল। আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত থাকায় মকফুর গংদের বিরুদ্ধে এলাকায় কেউ কোনো কথা বলতে সাহস পেত না। কিন্তু গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর মকফুর গংরা আমার জমি ছেড়ে দেয়।
মো: রুহুল আমিন বলেন, জমি ছেড়ে দিলেও মকফুররা আমার ওপর রাগান্বিত ছিল। এমতাবস্থায় জমির হারির টাকা লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলার জন্য বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মকফুর বিহারিনগর গ্রামের পশ্চিমপাড়া মক্তবের কাছে আমাকে ডাকেন। সেখানে পৌঁছানো মাত্রই মকফুর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান ও আতাউর রহমান তিন ভাই মিলে আমাকে মক্তবের পাশে গাছের সাথে দড়ি দিয়ে বেঁধে বেদম মারধর করে। খবর পেয়ে স্থানীয়রা এসে আমাকে উদ্ধার করে। সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: সামিনুল ইসলাম একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা