ডুমুরিয়ায় স্ত্রীকে হত্যা করে সেপটিক ট্যাংকে লাশ গুম
- ডুমুরিয়া (খুলনা) সংবাদদাতা
- ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:৫০
খুলনা জেলার ডুমুরিয়ায় নিখোঁজের ২৪ ঘণ্টা পর সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে নাসিমা বেগম (৪২) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে খুন হন নাছিমা। পুলিশ শুক্রবার রাতে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য খুমেকে পাঠায়। ঘটনার পর ঘাতক স্বামী ইব্রাহিমকে গতকাল ভোর রাতে আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইব্রাহিম খুনের বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলে পুলিশ জানায়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ডুমুরিয়া উপজেলার খরসঙ্গ গ্রামের ইব্রাহিম মোল্যা শ্বশুরবাড়ির সম্পত্তি বিক্রি করে টাকা আনার জন্য তার স্ত্রী নাছিমা বেগমকে প্রায়ই মারধর করতেন। এর জের ধরে তিনি গত বৃহস্পতিবার রাতে নাছিমাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে বাথরুমের সেপটি ট্যাংকির মধ্যে লাশ লুকিয়ে রাখেন। গত শুক্রবার সকালে ইব্রাহিম গরু ছাগল নিয়ে বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার সময়ে প্রতিবেশীরা সন্দেহ করে নাছিমাকে খুঁজতে থাকেন। কিন্তু নাছিমাকে কোথায় খুঁজে না পেয়ে তার মেয়েকে ফোন দিয়ে খবরটি জানান তারা।
নিহত নাছিমার মেয়ে খাদিজা খাতুন জানান, খবর পেয়ে বাড়ি এসে আব্বু, আম্মুকে না পেয়ে সন্দেহ হয়। খুঁজতে গিয়ে বাথরুমের পাতকুয়োর (সেপটি ট্যাংকি) ঢাকনা উল্টানো এবং কাদা দিয়ে ছিদ্র আটকানো দেখে কঞ্চি দিয়ে খোঁচাতে থাকি। একপর্যায়ে আম্মুর পা দু’টি দেখতে পাই। আব্বু আমার আম্মুকে খুন করেছে।
নিহত নাছিমার ভাই শহিদুল ইসলাম গোলদার (৫২) এবং শফিকুল ইসলাম গোলদার (৪৮) বলেন, ইব্রাহিম প্রতিনিয়ত বোনকে অত্যাচার করতেন। আব্বা মারা যাওয়ার পর ইব্রাহিম আমার বোনের সম্পত্তি বিক্রি করার জন্য চাপ দিতেন এবং নিজেই জমির ক্রেতা খুঁজে বেড়াতেন।
রঘুনাথপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শাহজাহান বলেন, লাশ উদ্ধার করে রাতেই ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করি। এখনো মামলা হয়নি।
ডুমুরিয়া থানা ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, ডুমুরিয়া থানা পুলিশ এবং গোয়েন্দা পুলিশ যৌথ অভিযানে ইব্রাহিম মোল্যাকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে তার স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা