হাওরাঞ্চলে বাড়ছে চুরি ডাকাতিসহ অপরাধ
দোকানে, হাট-বাজারে, রাস্তা-ঘাটে, ঘর-বাড়িতে এমনকি মসজিদেও চুরির ঘটনা ঘটছে- আলি জামশেদ, নিকলী (কিশোরগঞ্জ)
- ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৩২
হাওরে বেড়েই চলেছে চুরি ডাকাতির মতো দুর্বৃত্তায়নমূলক ঘটনা। বিক্ষিপ্ত দোকানে, হাট-বাজারে, রাস্তা-ঘাটে, ঘর-বাড়িতে এমনকি মসজিদেও চুরির ঘটনা ঘটছে। বাড়ছে অটোরিকশা ছিনতাইসহ হাওরের বুক থেকে সেচমোটর উধাও হওয়ার মতো ঘটনা।
নিকলীর জারইতলা ধারীশ্বর কামালপুরের রোকন মিয়া জানান, গত ৭ জানুয়ারি তিনি ঢাকার বাসায় চলে গেলে তার গ্রামের বাড়ির মেইন গেটের তালাসহ মোট তিনটি তালা ভেঙে ৭০ হাজার টাকা মূল্যের জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়। হয়রানির আশঙ্কায় তিনি আইনের আশ্রয় নেননি।
জারইতলা ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ইউপি সদস্য আবু বাক্কার, সাবেক ইউপি সদস্য দীন ইসলাম, ৫ নং ওয়ার্ডের চান মিয়া, ৬ নং ওয়ার্ডের গিয়াস উদ্দিনসহ বেশকিছু জনপ্রতিনিধি এলাকায় চুরির ঘটনা বেড়ে গেছে বলে স্বীকার করেন।
নিকলী সদরের অটোরিকশা চুরির ঘটনায় জারইতলা ৫ নং ইউপি সদস্যের ছেলে খাইয়্যুম ও গরু চোরখ্যাত বাদশাহসহ চারজনের নামে নিকলী থানায় এবং সেনা ক্যাম্পে রয়েছে চলতি মাসের মাঝামাঝিতে অভিযোগ। কয়েক দফায় সালিশ দরবার হয়েছে বলেও জানান আবু বাক্কারসহ একাধিক ইউপি সদস্য। আবু বাক্কার জানান, ৩০ জানুয়ারি মাঝরাতে ঘটেছে সুন্নাত আলীর ঘরে সিঁধকেটে চুরি হয়। গত সপ্তাহে দক্ষিণ হাঁটির খোকনের দোকান ঘরে চুরি, মেওড়া হাওর থেকে ইস্রাফিলের সেচ মেশিন চুরির ঘটনাসহ চলতি মাসে অসংখ্য চুরির ঘটনা ঘটে।
এ ছাড়াও একই ইউনিয়নের আঠার বাড়িয়ার আলী হোসেনের পানির মটর নিয়ে যাওয়া, ১৪ জানুয়ারিতে আঠার বাড়িয়া হাওর থেকে তানজিলের সেচ প্রকল্পের মটর নিয়ে যাওয়া মতো ঘটনা ঘটে। এক মাসের ব্যবধানে অত্র ইউনিয়নের রসুলপুর ও বনমালীপুর থেকে একাধিক সেচ মোটর, অটোরিকশাসহ মসজিদের জেনারেটর ও ব্যাটারি চুরির ঘটনা ঘটছে।
বাজিতপুরে চুরির পাশাপাশি ডাকাতির ঘটনা ঘটে চলেছে একাধিক সময়ে। গত ২৮ জানুয়ারি সরারচর টু হিলোচিয়া মূল রাস্তায় ভোররাতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। জানা গেছে ওই রাতে ১২টা ৩০ মিনিটে ঢাকা থেকে একটি যাত্রীবাহী মাইক্রোবাস ১৪ জন যাত্রী নিয়ে হিলোচিয়া বাজারে পৌঁছার আগেই বুড়িকান্দা এলাকায় ডাকাতদের কবলে পড়ে। চালক ও যাত্রীরা জানান, বুড়িকান্দা এলাকার ফাঁকা জায়গায় মূল রাস্তার ওপরে কলাগাছ ও অটোরিকশা দিয়ে ব্যারিকেট সৃষ্টি করে মাইক্রোটি থামাতে বাধ্য করে। এ সময়ে প্রথমে আটজন ডাকাত মাইক্রোতে উঠে অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের নামিয়ে তাদের তল্লাশি করে। তার সবার ব্যাগ তল্লাশি করে মোবাইল, টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়। মাইক্রোর চালক নজরুলকে মারধর করে তার মোবাইল ফোনটি নিয়ে যায়।
এ ছাড়া এক নারীর কানের দুল ও তার পুত্রবধূর গলার স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয় ডাকাতরা। মাইক্রোচালক জানান, আনুমানিক ৪০-৫০ হাজার টাকাসহ অতিরিক্ত দেড় লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে ডাকাতরা চালিয়ে যায়। তবে এখন পর্যন্ত ডাকাতদের বিরুদ্ধে মামলা করার কেউ সাহস পাননি।
বাজিতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মুরাদ হোসেন বলেন, সরারচর ডাকাতির ঘটনার কোনো অভিযোগ তার কাছে পৌঁছেনি। তবে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানান।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা