০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮ মাঘ ১৪৩১, ১ শাবান ১৪৪৬
`
বুড়িচং আনন্দ পাইলট সরকারি উচ্চবিদ্যালয়

নানা কাজে মাঠ ব্যবহার নেই খেলাধুলার পরিবেশ

বুড়িচং বিদ্যালয় মাঠে গোবর শুকাচ্ছে স্থানীয়রা : নয়া দিগন্ত -

বুড়িচং উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বুড়িচং আনন্দ পাইলট সরকারি উচ্চবিদ্যালয়। ১৯২০ সালে বুড়িচং গ্রামের আনন্দ ভট্টাচার্য স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন। স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করার সময় তিনি বিপুল সম্পত্তি দান করেন। এ স্কুল থেকে বিভিন্ন কৃতী শিক্ষার্থী দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দফতরে দায়িত্ব পালন করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো: আনোয়ার জাহান ভূঁইয়া এবং পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম। এ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন দফতরে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারসহ অনেক কৃতী শিক্ষার্থী দায়িত্ব পালন করছেন। এ বিদ্যালয়ে খেলাধুলার জন্য বিশাল একটি মাঠ রয়েছে। কিন্তু বিভিন্নমুখী সমস্যার কারণে খেলার মাঠে ছাত্র-ছাত্রীরা উন্মুক্তভাবে খেলাধুলা করতে পারছে না। মাঠের মধ্যে কেউ গরুর গোবর শুকিয়ে জ্বালানী তৈরি করে। ধানের মৌসুমে এই মাঠটিকে ধান ও খরের স্তুপ দিয়ে দখল করে নেয়। উত্তর পাশে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে মাঠের কিছু অংশ দখল করে নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে।

জাতীয় পর্যায়ের প্রাথমিক ও হাইস্কুলের ফুটবল এবং ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলাগুলো এ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। এখানে দিনের বেলায় বখাটেদের আনাগোনা থাকে আর রাতের বেলায় উত্তর পাশের শহীদ মিনারে মাদকের আসর বসে। মাঠের দক্ষিণ পশ্চিম ও উত্তর পশ্চিম পাশের পুকুরে সিএনজিসহ বিভিন্ন গাড়ি ধোয়ার কারণে মাঠের অংশ ভেঙে পুকুরে চলে যাচ্ছে এবং মাঠের ভেতরে খানাখন্দকের সৃষ্টি হচ্ছে।
কুমিল্লা জেলা ডিপ্লোমা মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার মো: শামীমুল ইসলাম বাবুল বলেন, এই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি, যেন খেলার মাঠটি সুন্দর পরিবেশ তৈরি করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ কে এম আমিনুল ইসলাম বলেন, সকাল বেলায় গাড়ি ড্রাইভিং কার প্রশিক্ষণ, গাড়ি ধোয়া, গাড়ি পার্কিং, আশপাশের লোকজন ধান শুকানো, খড়ের স্তুপ দেয়া, ঘরবাড়ির নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রেখে মাঠের পরিবেশ নষ্ট করে ফেলেছে। এই মাঠকে রক্ষা করতে হলে চারদিকে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের বিকল্প নেই।
বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাহিদা আক্তার বলেন, আমি মাঠে খেলার পরিবেশ নষ্ট না করার জন্য স্থানীয়দেরকে নোটিশ করেছি। চেষ্টা করছি মাঠের চারদিকে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের জন্য ররাদ্দ করার।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল