৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১, ১৮ রজব ১৪৪৫
`

আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে নির্বিঘেœ পার হয় লাগেজ পার্টি

-

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে কথিত লাগেজ পার্টি বা চোরাকারবারীরা নির্বিঘেœ পার হয়ে যাচ্ছে। রমজান মাসকে সামনে রেখে এই অবৈধ লাগেজ পার্টির তৎপরতা বেড়েছে। প্রতিরোধকারী সংস্থার কিছু অসাধু ব্যক্তিকে ম্যানেজ করে চলছে বৈধ রাস্তায় অবৈধ পণ্য পারাপার। বাংলাদেশ-ভারতের শক্তিশালী একটি চোরাই সিন্ডিকেট এই ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে বলে জানা গেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিন দেখা গেছে, বাংলাদেশ-ভারতের একটি যৌথ চোরাই সিন্ডিকেট এই লাগেজ ব্যবসা করছে। হাসিনা পতনের আগে এই লাগেজ ব্যবসাসহ বন্দরের সব অবৈধ ব্যবসার নিয়ন্ত্রণে ছিলেন সাবেক আখাউড়া পৌর মেয়র ও উপজেলা লীগের সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল। কাজল ভারতে পালিয়ে গেলেও চোরাই ব্যবসা বন্ধ হয়নি। আবার নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে চক্রটি।
এদিকে মঙ্গলবার সকালে মাদক, নিষিদ্ধ পণ্য সামগ্রীসহ আট লাখ টাকার পণ্য নিয়ে বন্দর থেকে বের হওয়ার পর বিজিবির হাতে আটক হয়েছে রাহুল ও সেলিনা নামে দুই ভারতীয় লাগেজ পার্টির সদস্য। তাদের বিজিবির করা মামলায় বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে আখাউড়া থানার ওসি মোহাম্মদ ছমি উদ্দিন জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ভারত ফেরত এক যাত্রী জানায়, সব কিছু হচ্ছে কাষ্টমস কর্তৃপক্ষের সামনেই। লাগেজ পার্টির সদস্যরা নির্বিঘেœ সরাসরি বন্দর দিয়ে চোরাই পণ্য পারাপার করলেও হয়রানীর শিকার হচ্ছে সাধারণ যাত্রীরা। তাদেরকে কারণে-অকারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। টাকা ছাড়া ব্যাগ-ব্যাগেজ ছাড়া হয় না। অথচ সামনে দিয়েই লাখ লাখ টাকার মাল নিয়ে নির্বিঘেœ চলে যাচ্ছে লাগেজ পার্টির সদস্যরা। এসবের প্রতিকার নেই।
আখাউড়া ইমিগ্রেশন পুলিশ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, লাগেজ পার্টির তৎপরতা বাড়লেও আমাদের কিছু করার নেই। শুল্ক আদায় ও মাল জব্দ করার দায়িত্ব কাস্টমস কর্তৃপক্ষের।
আখাউড়া কাস্টমস কর্মকর্তা রেহেনা পারভীন রাইনা জানায়, শুল্ক ফাঁকি দিয়ে কাস্টমস থেকে বের হওয়ার সুযোগ নেই। তবে কিছু যাত্রী ইমিগ্রেশন করে কাস্টমসে প্রবেশ না করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কোনো যাত্রী নিয়মের বাইরে অতিরিক্ত মালামাল নিয়ে আসলে শুল্ক আদায় করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।


আরো সংবাদ



premium cement