৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১, ১৮ রজব ১৪৪৫
`

যশোর শহরে ৬২ সিসি ক্যামেরার ৫৪টিই বিকল

-


যশোর পৌরসভার নাগরিকদের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে স্থাপিত ৬২টি সিসি ক্যামেরার ৫৪টিই বিকল হয়ে গেছে। ফলে, ঝুঁকিতে পড়েছে সার্বিক নিরাপত্তা।
পৌরসভা থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, ২০১৭ সালের ১৬ মার্চ প্রায় ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে শহরে ১২৮টি সিসিক্যামেরা স্থাপন করা হয়। জেলা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং বুথ স্থাপন করা হয় ডিএসবির তৎকালীন কার্যালয়ে। এরপর পুলিশ সুপারের কার্যালয় স্থানান্তর করার কারণে সিসি ক্যামেরার কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়ে। এ অবস্থায় ২০২০ সালে সবগুলো ক্যামেরা অচল হয়ে যায়। ২০২৩ সালের শেষের দিকে ছয় লাখ ৩২ হাজার টাকা ব্যয়ে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে নতুন করে ৬২টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে পৌরসভা। যার মনিটরিং কেন্দ্র করা হয় পুলিশ সুপারের নতুন কার্যালয়ের নিচতলায়। এরপর গত বছরের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের দিন বিক্ষুব্ধ জনতা বেশ কয়েকটি ক্যামেরা ভাঙচুরসহ বেশ কিছু সরঞ্জাম চুরি হয়ে যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এসব ক্যামেরা সচল করতে পৌর কর্তৃপক্ষ কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। শহরের নিরাপত্তাব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়ছে। চুরি ছিনতাই বৃদ্ধিসহ ঘটছে গোলাগুলির ঘটনাও।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘যশোর শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিসি ক্যামেরার গুরুত্ব অনেক। মোড়ে মোড়ে ক্যামেরা থাকলে অপরাধীদের চিহ্নিত করা সহজ হয়।’
যশোর পৌর ক্যামেরা রক্ষণাবেক্ষণ কাজে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান মার্কস ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মেহেদী হাসান বলেন, ‘গত বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সব ক্যামেরা সচল ছিল। শহরের দড়াটানা, গাড়িখানা, চারখাম্বা এবং কোর্টের মোড়ের অধিকাংশ ক্যামেরা চুরি হয়ে গেছে। চৌরাস্তার ক্যামেরাগুলো আছে, কিন্তু সেগুলোতে তারের সংযোগ নেই।

এ ছাড়া, সার্কিট হাউজ মোড়, চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডসহ আরো কয়েকটি স্থানের ক্যামেরা সচল রয়েছে। সেক্ষেত্রে ২০ টির মতো ক্যামেরা কিনতে হবে। তাহলেই পুরো শহর ক্যামেরার আওতায় আনা সম্ভব।’
এ বিষয়ে যশোর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মিজানুর রহমান খান বলেন, ‘শহরে ক্যামেরাগুলো বিকল থাকায় ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত। প্রতিনিয়ত বাড়ছে চুরি-ডাকাতির মতো ঘটনা। সিসি ক্যামেরা সচল থাকলে ব্যবসায়ীরা নিশ্চিন্তে ব্যবসা করতে পারবেন।’ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক রফিকুল হাসান বলেন, ‘ক্যামেরা সচলের উদ্যোগ নেয়া দরকার। কিন্তু এই মুহূর্তে বরাদ্দ দেয়া কঠিন। ব্যবসায়ীর যদি এগিয়ে আসেন তাহলে কাজটা সহজ হয়।’

 


আরো সংবাদ



premium cement