অধ্যক্ষ কালাচাঁদের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ
রাজশাহী নিউ গভ: ডিগ্রি কলেজ- রাজশাহী ব্যুরো
- ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:০৪
২০২১ সালের ৫ অক্টোবর রাজশাহী নিউ গভ: ডিগ্রি কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন প্রফেসর কালাচাঁদ শীল। তার যোগদানের পর থেকেই শুরু হয় নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, অসদাচরণ ও দমন-পীড়নমূলক কর্মকাণ্ড। তার এমন ব্যবহারে অতিষ্ঠ প্রতিষ্ঠানটির অনেক শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী।
অধ্যক্ষ কালাচাঁদের সাথে ওপরমহলের সখ্যতা ও ঘনিষ্ঠতা থাকায় ভয়ে মুখ খুলতে চান না কেউই। তবে সম্প্রতি অধ্যক্ষের হাসিনা-বন্দনামূলক একটি ঘটনা নয়া দিগন্তে প্রকাশের পর থেকে অনেকেই মুখ খুলতে শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে অধ্যক্ষের বেশকিছু দুর্নীতি অসদারণ ও স্বেচ্ছাচারিতার তথ্য এ প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।
নিউ গভ: ডিগ্রি কলেজের কয়েকজন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, যোগদানের পর থেকেই অধ্যক্ষ কালাচাঁদ কলেজে কর্মরত ৫৮ জন মাস্টাররোলে কর্মরত কর্মচারীর বেতন নিয়ে বৈষম্যমূলক আচরণ করেছেন। কেউ কেউ ২৫-৩০ বছর ধরে চাকরি করলেও তাদের বেতন কম রেখে তার (অধ্যক্ষের) সময়ে নিয়োগকৃতদের বেতন নির্ধারণ করেছেন নিজের খেয়ালখুশি মতো। এর প্রতিবাদ করায় কোনো কোনো কর্মচারীর বেতন বন্ধ করে দেন তিনি।
২০০৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি মাস্টাররোল কর্মচারী হিসেবে যোগদান করা সুমন আলী অধ্যক্ষ কালাচাঁদের হাতে বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। তিনি জানান, অধ্যক্ষ যোগদানের পর বেশকিছু কর্মচারীকে যথাযথ কারণ ব্যতীত ছাঁটাই করে দেন এবং আওয়ামীপন্থীদের সুপারিশ ও আর্থিক সুবিধা নিয়ে ১৪ জনকে নিয়োগ দেন। এর মধ্যে মিতুল দাস নামের এক নারীকে গানের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন তিনি। অভিযোগ রয়েছে, বছরের পর বছর ধরে মসজিদের ইমামের বেতন না বাড়িয়ে তিনি অপ্রয়োজনে নিয়োগ দেয়া গায়িকার বেতন বৃদ্ধি করেছেন। এসব নিয়ে কেউ প্রতিবাদ করলে অধ্যক্ষের তোপের মুখে পড়তে হতো।
এ ছাড়া, একাধিক কর্মচারীর অভিযোগ করেন, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কলেজ শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক বায়তুল হোসেন তরুর আপন দুই বোন যথাক্রমে বুলবুলি ও জেসমিনসহ সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি মইনুল ইসলাম বাপ্পির বোন লাবনীকেও মাস্টাররোলে নিয়োগ দেন অধ্যক্ষ কালাচাঁদ। জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকালে তরু ও বাপ্পির অস্ত্রহাতে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি করার ছবি প্রকাশের পর থেকেই তারা এখন পলাতক রয়েছেন। তারা দু’জনেই রাজশাহী সিটি করপোরেশনে অস্থায়ীভাবে চাকরি করতেন বলে জানা গেছে।
অধ্যক্ষ কালাচাঁদের বিরুদ্ধে রয়েছে ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত দুর্নীতি ও ঠিকাদারকে সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ। গত বছরের জুলাই মাসের শেষভাগে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার বন্দনামূলক আড়ম্বরপূর্ণ একটি ম্যাগাজিন বের করা হয় কলেজ থেকে। সেখানে বিধি অনুসারে পাঁচ লাখ টাকা খরচের অনুমতি থাকলেও তিনি প্রায় ১৫ লাখ টাকা খরচ দেখান ওই ম্যাগাজিনের পেছনে।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী নিউ গভ: ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ কালাচাঁদ শীল বলেন, আমার বিষয়ে আনীত অভিযোগগুলো সত্য নয়। তবে হাসিনা বন্দনার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন ‘কিছু কাজ ভুলবশত হয়ে গেছে’।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা