সৌদি আরব থেকে লাশ হয়ে ফিরলেন চুনারুঘাটের মাসুক

পরিবারের সুখশান্তি আর উন্নত জীবণের আশায় স্ত্রী সন্তান ও মা বাবাকে ছেড়ে মাত্র পাঁচ মাস আগে সৌদি আরবে পাড়ি জমিয়েছিলেন হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার আমতলা গ্রামের মাসুক মিয়া। প্রবাসে চাকরি করে পরিবার পরিজন নিয়ে ভালোই কাটছিল তার জীবন।
কিন্তু মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় সবকিছু তছনছ করে দিল মাসুকের। মৃত্যুর ২০দিন পর গত সোমবার বিকেলে মাসুক মিয়া লাশ হয়ে ফিরলেন বাড়িতে। লাশ বাড়িতে পৌঁছার পর স্ত্রী সন্তানসহ আত্মীয় স্বজনের কান্নায় আকাশ বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। নিহত মাসুক উপজেলার মিরাশী ইউনিয়নের আমতলা গ্রামের জহুর আলীর বড় ছেলে। মাসুকের স্ত্রী ও দেড় বছরের আফনান নামে একমাত্র ছেলে রয়েছে।
পরিবার সূত্র জানায়, মাসুক মিয়া মাত্র পাঁচ মাস আগে চাকরি নিয়ে সৌদি আরব যান। ভালোই চলছিল তার সহকর্মীদের নিয়ে প্রবাস জীবন। গত ৪ জানুয়ারি সৌদি আরবে এক সড়ক দুর্ঘটনায় মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হন মাসুক। ১৫ দিন সেখানে চিকিৎসা নেয়ার পর মৃত্যুবরণ করেন। মাসুকের মৃত্যুর পর সন্তানের লাশ দেখতে পাবেন কি-না এ নিয়ে দুঃচিন্তায় পড়েন অসহায় পরিবার। অবশেষে প্রবাসে তার গ্রামের সহকর্মী মাহমুদুল হাসান রুবেল সৌদির দূতাবাসের সহযোগিতায় লাশ দেশে ফিরিয়ে আনতে সর্বাত্মক চেষ্টা করেন। পরিশেষে গত সোমবার নিহত মাসুকের লাশ পৌঁছে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। সেখান থেকে অসহায় পরিবারটির পক্ষে রুবেলের বড় ভাই অবসরপ্রাপ্ত রথ্যাব সদস্য কামাল হোসেন লাশ গ্রহণ করে বাড়ি নিয়ে আসেন।
কামাল হোসেন জানান, অসহায় পিতা মাতা, স্ত্রী ও একমাত্র সন্তান রেখে মারা যান মাসুক। সেদিনই আমতলা শাহী ঈদগাহ মাঠে নিহত মাসুকের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। তার মর্মান্তিক এ মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া বিরাজ করছে।