বগুড়া বিমানবন্দর চালুর উদ্যোগ
- আবুল কালাম আজাদ বগুড়া অফিস
- ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
বগুড়া বিমানবন্দর শিগগিরই চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সম্প্রতি বিমানবাহিনীর প্রধান, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কর্মকর্তারা সরেজমিনে সম্ভাব্যতা যাচাই করে এমন আশ্বাস দিয়েছেন। দীর্ঘদিন লাল ফাইলে বন্দী থাকা বিমানবন্দরটি চালুর খবরে বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলের মানুষের মধ্যে আশার আলো জেগেছে।
বগুড়া জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া বিমানবন্দর স্থাপনের প্রথম উদ্যোগ নেয়া হয় ১৯৮৭ সালে। কিন্তু নানা জটিলতায় সেই উদ্যোগে ভাটা পড়ে। এর পর বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন ১৯৯১-৯৬ মেয়াদের বিএনপি সরকারের শেষ দিকে এখানে স্টল বিমানবন্দর স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সে সময় ২২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দেয় সরকার। এর পর ১৯৯৫ সালে সদর উপজেলার এরুলিয়া এলাকায় বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে ১১০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। ১৯৯৬ সালে সেখানে রানওয়ে, কার্যালয় ভবন ও কর্মকর্তাদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণ, বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ, রাস্তা নির্মাণসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ শুরু হয়ে শেষ হয় ২০০০ সালে। কিন্তু সে সময় অলাভজনক মতামত দিয়ে বিমানবন্দরটি বাণিজ্যিকভাবে চালু করা হয়নি। এর পর বিমানবাহিনীকে প্রদান করলে সেখানে একটি প্রশিক্ষণ স্কুল চালু করে বিমান ওঠানামা করে।
গত কয়েক বছর আগে বগুড়া-৭ আসনের সাবেক স্বতন্ত্র এমপি রেজাউল করিম বাবলুর প্রস্তাবনায় সম্ভাব্যতা যাচাইপূর্বক প্রতিবেদনসহ মতামত দিতে বলা হয় কমিটিকে। কমিটির সদস্যরা বিমানবন্দর এলাকা পরিদর্শন করে একটি প্রতিবেদন দাখিল করলেও বগুড়া শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মস্থান হওয়ায় সেটি আমলে নেয়া হয়নি।
বগুড়া জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা জানান, বগুড়া শিল্প, শিক্ষা ও ব্যবসা-বাণিজ্যে অন্যান্য জেলার চেয়ে অনেক এগিয়ে। তাই বিমানবন্দর চালু হলে শুধু বগুড়া নয় পুরো উত্তরাঞ্চলে উন্নয়নের পরিবর্তন ঘটবে। তিনি আরো জানান, অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচলে জেলা প্রশাসন ৬ হাজার ফুট রান ওয়ে চালুর প্রস্তাব দিয়েছে। এ জন্য নতুন করে ১০০ একর জমি হুকুম দখল করতে হবে। কারণ বেবিচক যে ৩০০ একর ভূমি নতুন করে হুকুম দখল করে ১০ হাজার ফুট রানওয়ে তৈরির প্রকল্প নিতে চায় তা এ মুহূর্তে বাস্তবায়ন করা কঠিন।
সম্প্রতি বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান বগুড়া বিমানবন্দরের রানওয়ে পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকে তিনি জানান, এটি একটি এয়ারফিল্ড। এখন এখানে ছোট বিমান নামাতে পারবো। এখানে বিমান ওঠানামা করাতে রানওয়েটি রিকার্পেটিং করতে হবে। রানওয়ে ৬ হাজার ফুট পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা গেলে দেড় বছরের মধ্যে ছোট বিমান ওঠানামার জন্য প্রস্তুত করা যাবে। আমরা সরকারকে বিষয়টি জানাবো।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা