কুলাউড়ায় নারীর মৃত্যু নিয়ে ধূম্রজাল, সুষ্ঠু তদন্ত দাবি
- কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) সংবাদদাতা
- ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার পৃত্থিমপাশা ইউনিয়নে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে নাজমা বেগম (৪০) নামে এক নারীর মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা বলেন, নাজমার মৃত্যুর সাথে সোহাগ মিয়া ও ফারুক মিয়ার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এ বিষয়ে করা মিথ্যা মামলাটি প্রত্যাহার ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তারা ন্যায় বিচার দাবি করেন।
নাজমা রেগমের মৃত্যুর ঘটনায় সোহাগ মিয়া ও ফারুক মিয়া নামে দুই ভাইকে আসামি করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা রাখা হয়েছে দুই-তিনজনকে। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে সোহাগ মিয়ার স্ত্রী রোকেয়া বেগম ও ফারুক মিয়ার স্ত্রী ডলি বেগম এবং তাদের মা আয়াতুন বেগমের দাবি, নাজমা বেগমের মৃত্যুর ঘটনা পুরোটাই সাজানো নাটক।
সোহাগ মিয়া ও ফারুক মিয়ার মা আয়াতুন বেগম জানান, নাজমা বেগম ও তার বোন সুমেনা বেগম, বোনের জামাই শফিক মিয়া এরা সবাই স্থানীয়ভাবে দাদন (চড়া সুদের ব্যবসা) কারবারি। ব্যবসার জন্য ওই চক্রের কাছ থেকে ৩৫ হাজার টাকা ধার নেয়া হয়েছিল। সেই টাকা চক্রবৃদ্ধি হারে সাত লাখ টাকা হয়ে গেছে বলে তাদের দাবি। গত ১৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় শফিক মিয়ার নেতৃত্বে সুমেনা বেগম, নাজমা বেগম, সুবাই বেগম, মুরাদ হোসেন ও মুন্না বেগম টাকা চাইতে গিয়ে সোহাগ মিয়ার দোকানে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী হামলা চালায়। হামলাকারীরা সোহাগ মিয়াকে গুরুতর জখম করে এবং দোকানেও ভাঙচুর চালায়। এ দিকে ঘটনার পরদিন ১৮ জানুয়ারি সকালে নাজমা বেগম অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে তাকে রবির বাজারে একটি ক্লিনিকে এবং পরে কুলাউড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার আরো এক দিন পর ১৯ জানুয়ারি নাজমা বেগমের ছেলে মুরাদ মিয়া বাদি হয়ে কুলাউড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় সোহাগ মিয়া ও ফারুক মিয়াকে আসামি করা হয়।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আলিম জানান, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। যেহেতু নিহতের পরিবার লিখিত অভিযোগ দিয়েছে, তাই মামলা নেয়া হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা